মণিপুর৷ যে মণিপুরের ছবিটি ধূসর, রক্তাত্ত, অত্যাচারের রেখায় জর্জড়িত৷ কেউ সয়ে যাচ্ছিলেন নিশ্চুপভাবে, কেউ আবার টিকে থাকার জন্য রাজনীতির লড়াইয়ে হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়ে ছিলেন, কিন্তু একজন গর্জে উঠেছিলেন ৷ চুপ থাকতে পারেননি ৷ কোনও হিসেব-নিকেশ না করেই ঝাঁপ দিয়েছিল আন্দোলনে ৷ তারপর, ১৬ বছরের অনশন ! নিশ্চুপ আন্দোলন ৷ সেই গর্জে ওঠা কণ্ঠেরই নাম ইরম ছানু শর্মিলা ৷
advertisement
সালটা ২০০০ ৷ মণিপুরের জঙ্গি কবলিত এলাকায় সেনাদের টহলদারি ৷ তবে তা শুধুই টহলদারি নয় ৷ আইনের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সেনারা নির্মম অত্যাচারও চালাত ৷ আর এই অত্যাচারের ফলে ইম্ফলের কাছে মালোম এলাকায় অসম রাইফেলসে সেনার গুলিতে শিশু সহ মারা যায় প্রায় ১০ জন ৷ এরই প্রতিবাদে সে সময় মুখর হয়ে ওঠে গোটা মণিপুর ৷ গর্জে ওঠে শর্মিলার কণ্ঠও ৷ ওই ঘটনার পর আফস্পা আইনের প্রতিবাদে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিল শর্মিলা ৷
অবশ্য শর্মিলার এই অনশনে প্রচুর বাধাও এসেছে ৷ মণিপুর প্রশাসনের জোর-জবরদস্তিতে তাঁকে ভর্তি করা হয় নার্সিং হোমেও ৷ মুখে নল ঢুকিয়ে তাঁকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছিল ৷ আদালতে আত্মহত্যার অভিযোগও দায়ের হয় ৷ আদালত অবশ্য এই অভিযোগে আমল দেন না ৷ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের বেডে নাকে রাইলস টিউব গোঁজা শর্মিলার ছবি ৷ শর্মিলার ১৬ বছরের অনশন জায়গা করে নিয়েছে রেকর্ড বুকে ৷
অবশেষে সেই নল খুলে ফেলেছেন শর্মিলা ৷ ২০১৬ সালের ৯ অগস্ট ১৬ বছরের অনশন সরকারিভাবে ভেঙে ফেলেছিলেন শর্মিলা ৷ যোগ দেন রাজনীতিতেও ! নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি৷ ২০১৭ সালে নতুন সংসার পাতেন ৷ বিয়ে হয় তাঁর ৷