কানাডার ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ মেজর জেনারেল পিটার স্কট বর্তমানে ত্রয়োদশ দ্বিবার্ষিক ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস চিফস কনফারেন্সে (IPACC) যোগ দিয়েছেন। ফলে এটা একপ্রকার স্পষ্ট যে কানাডার সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক বিরোধে দুই দেশের সেনা-সহযোগিতায় প্রভাব পড়বে না। কানাডার ডেপুটি আর্মি চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল পিটার স্কট বলেছেন, হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ইন্দো-প্যাসিফিক সম্মেলনে কানাডিয়ান সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির উপর কোনও কোনও প্রভাব পড়বে না। তাঁর দাবি, দুই দেশের সেনার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতেই তাঁর এই সফর।
advertisement
আরও পড়ুন– আকাশপথে ভ্রমণকালে বিমান বজ্রপাতের মুখে পড়লে কী কী হতে পারে? জেনে রাখুন আগেভাগেই
মেজর জেনারেল স্কট বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্য, সরকারের অবস্থান এবং তদন্তে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করার জন্য সরকারের অনুরোধ সম্পর্কে আমি পুরোপুরি অবগত। তবুও বলছি ইন্দো-প্যাসিফিক কনফারেন্সে সত্যিই কোনও প্রভাব পড়বে না। আমরা আসলে সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এখানে এসেছি। আমরা আমাদের সরকারকে ওই সমস্যা মোকাবিলা করার সুযোগ দেব।’’ IPACC-তে যোগ দিতে পেরে তিনি খুশি বলে জানান স্কট। তিনি বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অংশীদারদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ বা অনুশীলনে যোগ দেওয়ার জন্য কানাডা উন্মুখ।’ তিনি বলেন, ‘‘IPACC-২০২৩-এর অংশ হিসেবে ভারতে আসতে পেরে আমরা খুবই খুশি। কানাডা এমন সুযোগের সন্ধান করে চলেছে যেখানে আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অংশীদারদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ বা অনুশীলনে অংশগ্রহণ করতে পারি।’’
স্কট উল্লেখ করেছেন ভারতীয় এবং কানাডিয়ান সেনাবাহিনীর আগ্রহের ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করতে চান তাঁরা। প্রশিক্ষণ, আধিকারিক বিনিময়, শিক্ষার সুযোগ এবং যৌথ মহড়া এইসব ক্ষেত্রে দুই দেশের দু’টি পৃথক সেনাবাহিনী কাজ চালাতে পারে বলে তিনি আশাবাদী। এই সব ক্ষেত্রে দুই দেশ, একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারবে।
মেজর জেনারেল পিটার স্কট সোমবার ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডের সঙ্গে বৈঠকের কথাও জানিয়েছেন। সম্মেলনে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়েছেন দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে প্রতিবেশী সম্পর্কের উপরে।