রাস্তাটা মসৃণ ছিল না। কিন্তু মনের জোর হারাননি প্রদীপ কুমার। কিংবা , কে পৃথিকা ইয়াসিনি। ছোট থেকেই শরীর মনে দ্বিধা। একটু যেন অন্যরকম। কত কথা কানে আসত। রাগে, অপমানে গা গুলিয়ে উঠত। সুপ্রিমকোর্ট বৃহন্নলা ও রূপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সমাজ কী আদৌ বদলেছে? রূপান্তরকামীদের জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকারগুলি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টোটাই।
advertisement
তামিলনাড়ু ইউনিফর্মড সার্ভিসেস রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে আবেদন করেন ইয়াসিনি। নিয়ম ও গাইডলাইনসের অজুহাতে প্রথমে সেই আবেদন বাতিল হয়ে যায়। ভেঙে না পড়ে, জেদে অটল ইয়াসিনি আইনের দ্বারস্থ হন। লিখিত পরীক্ষার কাট অফ মার্কস ২৮.৫ থেকে ২৫ কমাতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। সমস্ত শারিরীক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ইয়াসিনি। রূপান্তরকামী ইয়াসিনি নিজের দক্ষতায় আদায় করে নেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের ফিট সার্টিফিকেট। তাঁকে রাজ্য পুলিশের সাবইনস্পেক্টর পদে নিযুক্তের উপযুক্ত বলে ঘোষণা করে হাইকোর্ট। ইয়াসিনির মন্তব্য, রূপান্তরকামী সমাজের জন্য এটা একটা নতুন অধ্যায়ের শুরু।