কোন এয়ারপোর্টে কত ফ্লাইট বাতিল
দিল্লি বিমানবন্দর: ১৩৪টি (৭৫ ডিপার্চার, ৫৯ অ্যারাইভাল)
বেঙ্গালুরু: ১২৭টি
চেন্নাই: ৭১টি
হায়দরাবাদ: ৭৭টি
জম্মু: ২০টি
advertisement
আহমেদাবাদ: ২০টি (গ্রাউন্ডেড)
বিশাখাপত্তনম: ৭টি
মুম্বই ও কলকাতা-সহ অন্যান্য বড় বিমানবন্দরেও ব্যাপক বিশৃঙ্খলার খবর এসেছে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৪৫৬টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
প্রভাবিত যাত্রীদের ৬১০ কোটি টাকা রিফান্ড
রবিবারই ইন্ডিগো ৬৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছিল, এবং শুক্রবার রেকর্ড ১,০০০-রও বেশি উড়ান বাতিল হয়। বিমান চলাচল দফতরের সূত্রে জানা গেছে, বাতিল হওয়া টিকিটের রিফান্ড বাবদ ৬১০ কোটির বেশি টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে, কলকাতা সোমবার ইন্ডিগো পরিষেবা অনেকটাই স্বাভাবিক। বেশ কিছু রুটে আজও বাতিল থাকছে, দেরিতেও চলছে একাধিক বিমান। তবে তা গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক কম। আজ সন্ধ্যা ৬’টায় কেন্দ্রকে জবাব দেবে ইন্ডিগো।
এদিকে-এর আগে দেশজুড়ে পরিষেবা-বিপর্যয়ের জেরে ইন্ডিগোকে শোকজ নোটিস দিয়েছিল DGCA। শোকজের জবাব দিতে সময় চেয়েছিল ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। সোমবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সময় দিয়েছে DGCA। সেই সময়ের মধ্যেই ইন্ডিগো বিমান কর্তৃপক্ষ নিজেদের শোকজের জবাব দেবে৷
ককপিট ক্রুর অভাব থেকেই বিপর্যয়ের সূত্রপাত
ইন্ডিগোর দাবি, নতুন করে কঠোরভাবে প্রয়োগ হওয়া সরকারী Flight Duty Time Limitation (FDTL) নীতির ফলে পাইলট ও ককপিট ক্রুর ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এর জেরেই ব্যাপক ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটছে।
সংকট গভীর হতে থাকায় সরকার আপাতত নতুন নীতিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ইন্ডিগো জানিয়েছে, সব ঠিকঠাক থাকলে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে।
পাইলট সংগঠনের অভিযোগ— সুরক্ষা বিপন্ন
এয়ারলাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি সাগ্নিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এয়ারলাইন্সগুলি লাভকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, পাইলটদের সুরক্ষা নয়।
তাঁর বক্তব্য, বহু বছর ধরে SOP মেনে চলা FDTL-এর যে নিয়ম, তা উপেক্ষা করেই সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে উড়ান নিরাপত্তাই বিপন্ন হচ্ছে বলে দাবি সংঘের।
নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ
সংকট সামাল দিতে কেন্দ্রের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রক একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে—
হাওয়াভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনা
দ্রুত রিফান্ড নিশ্চিত করতে ইন্ডিগোকে নির্দেশ
উচ্চ-স্তরের তদন্ত শুরু
মন্ত্রীর বক্তব্য, পাইলট ডিউটি–সংক্রান্ত নির্দেশ এক বছর আগেই এয়ারলাইন্সকে জানানো হয়েছিল। ফলে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
