প্রায় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের যাত্রাপথে যাত্রীদের মধ্যে চরম ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। যাত্রীরা জানিয়েছেন, এই সময় ক্রু সদস্যদের তরফে কোনও সান্ত্বনাদায়ক ঘোষণা করা হয়নি, যা আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরেই হোস্টেল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফ ছাত্রদের, দেখুন ভিডিও…
এই ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে একজন, অলহামরা খান, সোশ্যাল মিডিয়া X (টুইটার)-এ গিয়ে DGCA ও PMO-কে ট্যাগ করে লিখেছেন, “বিমানে ক্র্যাশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। টেক অফের পরই খুব কড়া ঝাঁকুনি শুরু হয়। আমরা ভেবেছিলাম, হয়তো আজই জীবনের শেষ দিন।” অলহামরার অভিযোগ, বিমানের ক্রু সদস্যরা দায়িত্বহীন ছিলেন এবং তারা কোনও ধরনের নির্দেশ বা আশ্বাস দেননি।
advertisement
DGCA জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যাত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী, শুধু টার্বুলেন্স নয়, বিমানের ক্রুদের আচরণ এবং সংকট মুহূর্তে প্রস্তুতির অভাব ছিল আশঙ্কাজনক। একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, এই অভিজ্ঞতার ফলে তারা ভবিষ্যতে বিমানে যাতায়াত নিয়ে আতঙ্কে থাকবেন।
DGCA জানিয়েছে, তদন্তে যদি গাফিলতির প্রমাণ মেলে, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সব যাত্রী নিরাপদে লখনউ পৌঁছালেও, মানসিকভাবে তাঁরা চরম আতঙ্কের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন — এমনটাই জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।