যাত্রীদের আরও অভিযোগ, বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হলেও ইন্ডিগো-র পক্ষ থেকে কোনও খাবার, জলের বন্দোবস্ত করা হয়নি৷ এমন কি, গন্তব্যে পৌঁছনোর বিমান কখন মিলবে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরের কাউন্টারে ইন্ডিগো-র কর্মীদেরও দেখা মিলছে না৷
দিল্লি বিমানবন্দরের মেঝেতে স্যুটকেস, মালপত্রের পাহাড় জমে গিয়েছে৷ অনেক যাত্রী বিমানবন্দরের মেঝেতেই শুয়ে ঘুমিয়েছেন৷ বহু যাত্রী ১২ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন৷
advertisement
ইন্ডিগো পরিষেবা দিতে শুরু করার পর গত কুড়ি বছরের ইতিহাসে একদিনে সংস্থার এত বিমান বাতিল হয়নি৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, মুম্বইয়ে শুক্রবার ইন্ডিগো-র ১১৮টি বিমান বাতিল হয়েছে৷ বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দ্রাবাদে ৭৫টি, কলকাতায় ৩৫টি, চেন্নাইয়ে ২৬টি এবং গোয়া বিমানবন্দর থেকে সংস্থার ১১টি বিমান বাতিল হয়েছে৷
এই বিপর্যয়ের আগে পর্যন্ত দিনে গোটা দেশে কমবেশি ২৩০০ উড়ান ছিল ইন্ডিগো-র৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত নিজেদের ৩৫ শতাংশ উড়ান সময় ওড়াতে পেরেছিল ইন্ডিগো৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার তা কমে হয়েছে ১৯.৭ শতাংশ৷ সংস্থার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরও অন্তত দুই থেকে তিন দিন এই পরিস্থিতি চলতে পারে৷ কর্মী সঙ্কট, পরিকল্পনায় গলদ এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে ইন্ডিগো৷
