কিন্তু কেন কুয়াশায় ট্রেন চালানো যায় না? এর মূল সমস্যা কুয়াশায় ঢাকা রেলপথে দৃশ্যমানতা ক্রমশ কমতে থাকে। ঘন কুয়াশার চাদর সরিয়ে চালক সামনে প্রায় কিছুই দেখতে পান না। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে শীতের সময়ে এই ভাবেই গোটা দেশে বাতিল হয়ে যায় বহু ট্রেন। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যায়। লেট চলতেই থাকে ট্রেনের৷ রেল বোর্ড সূত্রের খবর, কুয়াশা মোকাবিলায় নতুন একটি যন্ত্রের সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ‘ফগ পাস’ নামে একটি নয়া যন্ত্র রেলের হাতে এসেছে। যার সাহায্যে ঘন কুয়াশার মধ্যেও চালানো যাবে ট্রেন। সেটি চলবে জিপিএস প্রযুক্তিতে। গত কয়েক বছর ধরে এই যন্ত্রের কথা বারবার বলে এসেছে রেল।
advertisement
আরও পড়ুন - মিথ্যে নয় একেবারে সত্যি! হিমঝড়ের সতর্কবার্তা, রাজস্থানের মরুভূমি ঢেকে গেল বরফে
যন্ত্রের সঙ্গে লাগানো একটি এলসিডি স্ক্রিনের সাহায্যে চালক গাঢ় কুয়াশাতেও বুঝতে পারবেন, সামনের সিগন্যাল লাল না সবুজ, লেভেল ক্রসিং বন্ধ না খোলা, সর্বোপরি একই লাইনে সামনে ঠিক কতটা দূরে রয়েছে অন্য ট্রেন। রেল বোর্ড যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে একাধিক নির্দেশ জারি করেছিল। তার মধ্যে একটি ছিল, চালক মনে করলে যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে গতি কমাতে পারেন। তার পর থেকে ট্রেনের চালক এবং গার্ড কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। কুয়াশা হলেই তাঁরা ওই নিয়ম মেনে ট্রেনের গতি কমিয়ে দিচ্ছেন। তাতেই ঘটছে দেরি।গত কয়েক বছর ধরে দূষণের জেরে উত্তর ভারতে কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের ধুলিকণা মিশে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। যাতে আরও বেশি গাঢ় হচ্ছে কুয়াশা।
আরও পড়ুন - সৈকতে আছড়ে পড়েছে পুণ্যার্থীদের ভিড়, গঙ্গাসাগর যেন জন সমুদ্র
রেল বোর্ডের কর্তাদের বক্তব্য, কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে গেলেই যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য চালকেরা ট্রেনের গতি কমিয়ে ১০ কিলোমিটার করে দিচ্ছেন। তাতেই ‘লেট’ বাড়ছে। ইঞ্জিনে ওই নতুন যন্ত্র থাকলে চালকেরা স্বচ্ছন্দে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ট্রেন চালাতে পারবেন। তাতে দেরিও কমবে। তবে রেল কর্তাদের একাংশের অভিমত, যতই যন্ত্র বসানো হোক, শুধু কুয়াশা নয়। ট্রেনের জট পাকাচ্ছে অহরহ লাইন মেরামতির কাজও।
ABIR GHOSHAL