দ্বিতীয় প্রবেশপথের ডিজাইন আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে এবং গুয়াহাটি স্টেশনের পুনঃউন্নয়ন প্রকল্পের একটি অংশ হিসেবে এটি বিকশিত করা হবে। যাত্রীদের সহজ প্রবেশ ব্যবস্থা প্রদানের পাশাপাশি এই দ্বিতীয় প্রবেশপথটি শহরের যানজট হ্রাস করবে। গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের জন্য উত্তর দিক থেকে অথবা শহরের পান বাজারের দিক থেকে শুধুমাত্র একটিই প্রবেশপথ আছে।
advertisement
এই স্টেশন ও প্রবেশপথের উন্নয়নের লক্ষ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে উপযুক্ত জমি প্রদানের জন্য অসম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সম্মতি প্রকাশ করেছে। গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে দ্বিতীয় প্রবেশপথ নির্মাণের জন্য পল্টন বাজারের দিকে এএসটিসি-র ৬৬৮২.৫০ বর্গমিটার পরিমাণ জমিকে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এর বিনিময়ে উত্তর জালুকবাড়িতে ২৭৮৪৩.৭৫ বর্গমিটার পরিমাণের সমমূল্যের রেলওয়ে জমি এএসটিসি-র হাতে তুলে দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় প্রবেশপথ তৈরি করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ইতিমধ্যেই পরামর্শদাতা নিয়োগ করেছে এবং গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনের সামগ্রিক উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও কিওস্ক ইত্যাদি প্রদানের জন্য স্টেশনে অতিরিক্ত স্থান তৈরির উদ্দেশ্যে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর রুফ প্লাজা দেওয়া হবে। সোলার প্যানেল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জল ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির সাথে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ আদলে স্টেশনটির উন্নয়ন করা হবে। যাত্রীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য লিফ্ট, এসকেলেটর, আধুনিক সংকেত চিহ্ন, শৌচাগার, প্রশস্ত ওয়েটিং হল, পার্কিং সুবিধার পাশাপাশি বৈদ্যুতিন গাড়ির চার্জিং পয়েন্ট ও ফুডিং-লজিং ইত্যাদি ব্যবস্থার মতো আরও বহু সুবিধার সাথে স্টেশনটি তৈরি করা হবে।
উত্তর পূর্ব অঞ্চলের সর্ববৃহৎ শহর হওয়ার পাশাপাশি গুয়াহাটিকে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির প্রবেশদ্বার হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। শহরের মধ্যস্থানে অবস্থিত গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনটি এই অঞ্চলের যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবে পরিষেবা দিয়ে আসছে। এই নতুন সুবিধাগুলি যুক্ত হলে স্টেশনটি গুয়াহাটির জনগণের জন্য অভূতপূর্ব সার্বিক উন্নয়নের সূচনা করবে।