এই পদক্ষেপগুলির লক্ষ্য হল আঞ্চলিক উন্নয়ন বৃদ্ধি করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং বিকশিত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে বিটিএডিকে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংহত করা। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল কোকরাঝাড় জেলার বাসবাড়িতে প্রস্তাবিত ওয়াগন পিরিওডিক ওভারহলিং (পিঅএইছ) কারখানা।
সম্প্রতি, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে-এর জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব, বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তাবিত স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। ২৫৬.৩৫ কোটিটাকা (ফেজ ১) ব্যয়ে প্রায় ২,৫০০ বিঘা জমির উপর নির্মিত এই অত্যাধুনিক সুবিধাটিতে প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে ৭৫টি ওয়াগন হেণ্ডলিং করা হবে, পরবর্তী পর্যায়ে প্রতি মাসে ২৫০টি ওয়াগন হেণ্ডলিং করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতে উঠবেন, সকালে ভুটান! এবার ট্রেনেই বিদেশ-ভ্রমণের সুবিধা দিচ্ছে ভারতীয় রেল, বিশদে জানুন
বাসবাড়িস্টেশন এবং রূপসী বিমানবন্দরের কাছে কৌশলগতভাবে অবস্থিত, এইকর্মশালাটি একটি প্রধান লজিস্টিক হাব হিসেবে কাজ করবে, যা স্থানীয়যুবকদের জন্য বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ তৈরিকরবে এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ওয়াগন রক্ষণাবেক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরবে।
.
এছাড়াও, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কোকরাঝাড়-গেলেফু নতুন রেললাইন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে, এটি ৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-ভুটান আন্তঃসীমান্ত সংযোগ উদ্যোগ, যা ভারত সরকার কর্তৃক একটি বিশেষ রেলপ্রকল্প হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ৪,০৩৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে নির্মিতএই রেল লাইনটি অসমের কোকরাঝাড়কে ভুটানের গেলপুরের সঙ্গে সংযুক্তকরবে, যা ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ এবং ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির অধীনে বাণিজ্য, পর্যটনএবং আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন পথ উন্মোচন করবে। এই প্রকল্পটিবিটিএডিকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত করবে, যার ফলে কোকরাঝাড় ভারত-ভুটান রেল এবং লজিস্টিক কার্যক্রমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: বাংলার গর্ব, বিশেষ সম্মান পাচ্ছেন IIT খড়গপুরের ডিরেক্টর! কী সম্মান জানেন?
অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম (এবিএসএস)র অধীনে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কোকরাঝাড়, গোসাইগাঁও হাট, ফকিরাগ্রাম, ওদালগুড়ি, টংলা এবং মাজবাট সহ গুরুত্বপূর্ণ বিটিএডির স্টেশনগুলিতে আধুনিকীকরণের কাজওশুরু করেছে। এই কাজগুলির মধ্যে স্টেশন ভবনের পুনবির্কাশ, উন্নত যাত্রী সুযোগ-সুবিধা, উন্নত যাতায়ত এলাকা এবং আধুনিক ফ্যাসেড ডিজাইন, যা যাত্রীদের জন্য বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। বিটিএডি স্টেশনগুলি এখন আগের তুলনায় আরও উন্নতভাবে সংযুক্ত।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি নিয়মিত কোকরাঝাড় স্টেশনে থামে, যা বোড়োল্যান্ডের যাত্রীদের জন্য দেশের প্রধান শহরগুলির সঙ্গে দ্রুত, আরামদায়ক এবং প্রিমিয়াম সংযোগ নিশ্চিত করে। এছাড়াও, গোসাইগাঁও হাট, ফকিরাগ্রাম, বাসুগাঁও, বিজনি, টংলা, ওদালগুড়ি এবং মাজবাট-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিটিএডি স্টেশনগুলিতে এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের বেশ কয়েকটি নতুন স্টপেজ চালু করা হয়েছে, যা স্থানীয় যাত্রীদের ভ্রমণ সুবিধা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতকরেছে এবং রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে।
বৈদ্যুতিকীকরণ, ডাবল ট্র্যাক এবং পরিকাঠামোগত আধুনিকীকরণের দ্রুত অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সুরক্ষা, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রেলউন্নয়নের মাধ্যমে অসমের বিটিএডি অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
