একটি স্ট্যান্ডার্ড বগির পণ্যবাহী ট্রেনের গঠন হয় ৪২টি ওয়াগন দিয়ে। এর চেয়ে অধিক পণ্যবাহী ট্রেনের যে কোনও গঠনকেই বলা হয় দৈর্ঘ্যের ট্রেন। সামগ্রিকভাবে এই ট্রেন খালি অথবা ভর্তি থাকতে পারে। ৩টি পণ্যবাহী ট্রেন নিয়ে গঠিত প্রথম দৈর্ঘ্যের পণ্যবাহী ট্রেন "ত্রিশুল ১" মোট ১২৮টি ওয়াগন, ৩টি ডিজেল লোকোমোটিভ ও ৩টি ক্রু সেট নিয়ে যাত্রা করেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন - ভালবেসে চিয়ার লিডারকে ঘরণী করেছিলেন তারকা ক্রিকেটার, কিন্তু চার বছরেই জীবনে নেমে এল অভিশাপ
ট্রেনটি প্রায় ২ কিলোমিটার লম্বা ছিল। এই ট্রেনটি নিউ গুয়াহাটি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রওনা দিয়েছিল ০৩.১৫ ঘণ্টায় এবং তিস্তা ব্রিজ কেবিনে একইদিনে ১৫.৩৬ ঘণ্টায় পৌঁছেছিল। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৩৬ কিলোমিটার গতিতে এই ট্রেনটি ১২.৩০ ঘণ্টায় ৪৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। দ্বিতীয় দৈর্ঘ্যের পণ্যবাহী ট্রেন "ত্রিশুল ২" ৩টি মালবাহী ট্রেন সমন্বিত মোট ১২৮টি ওয়াগন, ২টি ডিজেল লোকোমোটিভ এবং ২টি ক্রু সেট নিয়ে যাত্রা করেছিল।
আরও দেখুন -
এই ট্রেনটি নিউ গুয়াহাটি থেকে রওনা দিয়েছিল ০২.৩০ ঘণ্টায় এবং তিস্তা ব্রিজ কেবিনে ১৪.৪০ ঘণ্টায় পৌঁছেছিল। প্রতি গণ্টায় গড়ে ৩৬.২ কিলোমিটার গতিতে এই ট্রেনটি ১২.১০ ঘণ্টায় ৪৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। স্বাভাবিক পণ্যবাহী ট্রেনের তুলনায় দৈর্ঘ্যের ট্রেনগুলি ৩৫০০ লিটার ইন্ধন এবং চলাচলের প্রায় ৩০-৩৫ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় করেছিল।এই অগ্রগামী চলাচলের সাফল্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকে রেল রুটে লাইনের যানজট ও গুডস পয়েন্ট ওয়াগনের বর্ধিত চাহিদা মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। ট্রেনের সংখ্যা হ্রাসের ফলে এখানে রোলিং স্টকের গতি বৃদ্ধির একটি অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে।
ABIR GHOSHAL