২৮ মে, ২০২৪ তারিখের ০৫.০০ ঘণ্টা থেকে ১১.৩০ ঘণ্টার মধ্যে কিমি/১১০-এ ২২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। নিউ হারাঙ্গাজাওয়েও ০৬.০০ ঘণ্টা থেকে ১০.০০ ঘণ্টা পর্যন্ত ২১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত পঞ্জীয়ন করা হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি, সাইক্লোনের তীব্র বাতাসে বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপর গাছ উপড়ে পড়ে। আগরতলা ও শিলচরগামী দূরপাল্লার ট্রেনগুলির আবদ্ধ যাত্রীদের জন্য লামডিং ও গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য এবং প্যাকেটজাত পানীয় জল ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফলে গেল প্রিয়জনের ‘কু’ডাক’, ভাগীরথীতে শেষ পড়ুয়ার জীবন! ভয়ঙ্কর এক ঘটনা
লোকমান্য তিলক টার্মিনাস থেকে আগত আগরতলাগামী ১২৫১৯ নং. ট্রেনটিকে লামডিং স্টেশনে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। লামডিং স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দ্বারা সমস্ত যাত্রীর জন্য রাতের আহার ও পানীয় জল পরিবেশন করা হয়। পরে ট্রেনটি ২৩.৩০ ঘণ্টায় গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছয়। এরপর ট্রেনটির যাত্রীদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দ্বারা গুয়াহাটি স্টেশনের ১নং. প্ল্যাটফর্মের ১ম শ্রেণির ওয়েটিং হলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
একইভাবে শিয়ালদহ থেকে আগত শিলচরগামী ১৩১৭৫ ট্রেনটিকেও লামডিং স্টেশনে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং ট্রেনের সমস্ত যাত্রীদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দ্বারা চা ও স্ন্যাক্স পরিবেশন করা হয়। পরে ট্রেনটি গুয়াহাটি স্টেশনে ০১.২৫ ঘণ্টায় পৌঁছয় ও এবং রেলওয়ে আধিকারিকদের দ্বারা ট্রেনটির যাত্রীদের গুয়াহাটি স্টেশনের ১ নং. প্ল্যাটফর্মের ১ম শ্রেণির ওয়েটিং হলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।
রেলওয়ে আধিকারিক, রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের পাশাপাশি গুয়াহাটি সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আধিকারিকরা স্টেশনে উপস্থিত থেকে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য করেন।এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় পাহাড়ি অঞ্চলের জনগণকে যথা সম্ভব সাহায্য করা হয়েছে।
