এই প্রচেষ্টাগুলির মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক রেলযাত্রীর জন্য নিজেদের অধিক্ষেত্রের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অন্বেষণ করার এক নতুন পথ উন্মুক্ত করেছে। পর্যটনের প্রচারের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের গৃহীত অন্যতম মূল পদক্ষেপ হল ভিস্টাডোম কোচ-সহ টুরিস্ট ট্রেন চালু করা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাফলং, বদরপুর, যোরহাট, আগরতলা, নাহরলগুন এবং উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স ইত্যাদি এলাকার স্থানগুলিতে ভ্রমণের সময় পর্যটকরা যাতে শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে সক্ষম হন তার জন্য এখনও পর্যন্ত পাঁচটি এমন ধরনের ট্রেন চালু করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অনবরত গা চুলকাচ্ছে! কোন ভিটামিনের অভাবে গা-হাত-পা চুলকায় জানেন? বড় ক্ষতির আগে জানুন
এছাড়াও, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) অধীনে আইকনিক জয়রাইড ট্রেনে ন্যারো গেজ ভিস্টাডোম কোচও চালু করা হয়েছে। এর ফলে পর্যটকরা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা পেতে সক্ষম হচ্ছেন। ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য ডিজাইন করা ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন চালু করার ক্ষেত্রেও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সক্রিয়। এই অঞ্চলের জন্য ১৪টি কোচের এমন ধরনের একটি ‘ভারত গৌরব’ রেক বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন রিটায়ারিং রুম, এগজিকিউটিঊ লাউঞ্জ ও রেল কোচ রেস্টুরেন্টের মতো শীর্ষ মানের পর্যটক সুযোগ-সুবিধা একাধিক স্টেশনে প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে খরচ কত? সন্তানকে KVS-এ ভর্তির আগে কীভাবে আবেদন করবেন জানুন
এর পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পর্যটন প্রসারের প্রতিশ্রুতি রেলওয়ে স্টেশনের বাইরেও সম্প্রসারিত হয়েছে, যা রিভার ক্রুজ ও ফ্লোটিং রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থার প্রবর্তনের মাধ্যমে ডিব্রুগড়ের বগিবিল সেতুর কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীর পারে এক নৈসর্গিক পর্যটন কেন্দ্র তৈরিতে দেখা গিয়েছে। নোডাল পর্যটন পয়েন্টগুলি সংযুক্ত করে, পর্যটনদলগুলির জন্য স্পেশ্যাল উৎসব ট্রেন চালিয়ে এবং ব্লক বুকিং ব্যবস্থা প্রদান করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ক্রমাগতভাবে পর্যটকদের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টাগুলি বিশ্বজুড়ে সমস্ত পর্যটকের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলকে সহজগম্য ও আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে গড়ে তোলার একনিষ্ঠ উদাহরণ।
আবীর ঘোষাল