রাজধানী এক্সপ্রেসের এন্ড-টু-এন্ড ইলেকট্রিক অপারেশন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেলওয়ে পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে বাকী থাকা সেকশনগুলিতে, বিশেষ করে ডিব্রুগড় – তিনসুকিয়া – লামডিং – গুয়াহাটি রুটে সম্প্রতি বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সম্পূর্ণ বৈদ্যুতীকৃত যাত্রা সম্ভব হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক অপারেশনের ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে দক্ষতা বৃদ্ধি, ভ্রমণের সময় হ্রাস করে ও পরিচালন ব্যয় হ্রাস করে পরিবেশগত স্থায়িত্বে অবদান রাখবে। নিউ দিল্লি – ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনের মাধ্যমে চলাচল শুরু করেছে, যা রেলওয়ে বৈদ্যুতিকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।
advertisement
আরও পড়ুন: CBSE না ICSE? দুই বোর্ডের মধ্যে কোনটি সেরা? মূল পার্থক্য কোথায়? জেনে রাখুন
ফেরত যাত্রার সময়, ডিব্রুগড় – নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, আজ থেকে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনের মাধ্যমে চলবে। দীর্ঘস্থায়ী পরিবহণের দিকে এগিয়ে গিয়ে, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত-কে সংযোগকারী আরও বেশ কয়েকটি মুখ্য ট্রেনও বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনে রূপান্তরিত হচ্ছে। ট্রেন নং. ১৩১৮১ (কলকাতা – শিলঘাট টাউন) এক্সপ্রেস ৩০ জুন ২০২৫ থেকে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনে চলাচল করবে, এবং ট্রেন নং. ১৩১৮২ (শিলঘাট টাউন – কলকাতা) এক্সপ্রেস ১ জুলাই ২০২৫ থেকে চলাচল শুরু করবে। ট্রেন নং. ১২৩৪৫ (হাওড়া – গুয়াহাটি) সরাইঘাট এক্সপ্রেস ২৫ জুন ২০২৫ থেকে এবং ট্রেন নং. ১২৩৪৬ (গুয়াহাটি – হাওড়া) সরাইঘাট এক্সপ্রেস ২৬ জুন ২০২৫ থেকে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনে চলাচল শুরু করেছে। এছাড়াও, ট্রেন নং ১৩২৪৮ (রাজেন্দ্র নগর – কামাখ্যা) ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে বৈদ্যুতিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে এবং ট্রেন নং. ১৩২৪৭ (কামাখ্যা – রাজেন্দ্র নগর) ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস ২৭ জুন ২০২৫ তারিখ থেকে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনে চলাচল করার কথা রয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিকরণের ফলে, রাজধানী এক্সপ্রেস এখন বাস্তবিকভাবে অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বের প্রতীক। এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয় বরং উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণের জন্য একটি সবুজ এবং দ্রুততর রেল নেটওয়ার্কের দিকে একটি পদক্ষেপ। ভারতীয় রেলওয়ে সমগ্র দেশে ১০০% বৈদ্যুতিকরণের লক্ষ্যমাত্রার দিকে ক্রমাগতভাবে এগিয়ে চলেছে, এবং উত্তর-পূর্ব ভারত এখন উচ্চ-গতি, পরিবেশ-বান্ধব রেল পরিচালনের মানচিত্রে দৃঢ়ভাবে প্রবেশ করেছে।
আবীর ঘোষাল