আরও পড়ুন-Viral News: সময় দেন না স্বামী, সেই রাগে অনলাইনে স্বামীকে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিলেন স্ত্রী!
শিষ্টাচার নির্দেশিকা অনুযায়ী, কামরায় বসে উচ্চস্বরে বা জোর গলায় ফোনে কথা বলা যাবে না। এমনকী, কামরায় উচ্চস্বরে বাজানো যাবে না মিউজিক। রাত ১০টা বাজলেই নিভে যাবে কামরার আলো। রাত ১০টার পরে সাধারণ কথাবার্তা যাত্রীদের এমন ভাবে করতে হবে যাতে সহযাত্রীদের অসুবিধা না হয়। আর এই সব বিধি যথাযথ ভাবে পালন হচ্ছে কি না তা নজর রাখবেন টিকিট পরীক্ষক, আরপিএফ, ক্যাটারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল বিভাগের অন বোর্ড কর্মীদের। একই সাথে কর্মীদের অবশ্যই নম্র, কৌশলী হতে হবে। বিশেষ নজর দিতে হবে ষাটোর্ধ্ব যাত্রী, শারীরিক ভাবে অক্ষম, রোগী ও যে সব মহিলা যাত্রী একা যাতায়াত করছেন তাদের উপরে। কিন্তু এমন শিষ্টাচার নির্দেশিকা জারি করতে হল কেন? রেলের একাধিক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বিগত কয়েক মাস ধরে প্রচুর অভিযোগ এসেছে।
advertisement
রাত বাড়লেই চটুল গান বাজানো হয় কামরাতে। লাউউ মিউজিক বাজান বেশ কিছু যাত্রী। আর তা অপছন্দ হয়ে প্রতিবাদ করায় একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ গড়িয়েছে আরপিএফ পর্যন্ত। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা হলেও, পুরোপুরি এই অভ্যাসের বদল হয়নি। রেল বলছে তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে রাত গড়ালেও কামরার একাধিক জায়গায় আলো জ্বেলে আড্ডা চলে। অনেক সময় সহযাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছে এটা মানতে রাজি হন না তারা। বিশেষ করে মহিলা ও বয়স্করা প্রতিবাদ করলেও সুরাহা মেলে না বলে অভিযোগ।
আগামী দিনে এমন অভিযোগ যাতে আর না আসে সেই দিকে নজর দিতে চাইছে রেল ৷ রেলওয়ে বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘বিমানের মতই, ট্রেনেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য দিতে হবে ৷ আরাম করে, সুরক্ষিত উপায়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছনোর একটা মাধ্যম হল ভারতীয় রেল। আমরা সেই স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাই এই বিধি করা হচ্ছে।" তবে বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে রেলের কর্মী যারা অন বোর্ড থাকেন তারাও যথাযথ ব্যবহার করেন না। তেজসের মতো ট্রেনে এয়ার হোস্টেস ধাঁচের কর্মী আছেন। বন্দেভারত থেকে প্রিমিয়াম ট্রেন সবেতেই এই নয়া মোড়ক দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই যাত্রী সুরক্ষার নজর যাদের হাতে থাকে। এছাড়া ট্রেন পরিচালনার অন্যান্য দায়িত্বভার যারা সামলান তাদেরকেও নম্র, ভদ্র হতে বলা হয়েছে। তবে যাত্রীদের সাথে গোটা বিষয়টি বুঝেশুনে দেখার জন্যে কৌশলী হওয়ার পাঠও দিচ্ছে রেল।
আবীর ঘোষাল