অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, রেলওয়ে বোর্ডের বহু-বিষয়ক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে, রেলের এই সিদ্ধান্ত ‘অবাস্তব এবং ভিত্তিহীন’। AILRSA-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/চেয়ারম্যান রেলওয়ে বোর্ডের কাছে লেখা এক চিঠিতে, মহাসচিব কেসি জেমস দাবি করেছেন যে, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক। নাহলে ট্রেন চালকদের সংগঠনের তরফ থেকে দেশজুড়ে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।
advertisement
কমিটি উচ্চগতির ট্রেনের সংজ্ঞা বর্তমান ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা করার সুপারিশ করেছে৷ বোর্ডের সার্কুলারে জোনাল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারদের উদ্দেশ্যে তা বলেও দেওয়া হয়েছে। এর জবাবে AILRSA জানিয়েছে যে, গতিসীমা ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি হওয়ায় লোকো পাইলটদের চাপের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
AILRSA জানিয়েছে, লোকো পাইলটদের খাবার খাওয়ার জন্য বিরতি নেওয়া বা প্রকৃতির ডাকে সাড়া না দেওয়ার মতো বিষয় মেনে নেওয়া যায় না। লোকো পায়লটদের জন্য বিশেষভাবে টয়লেট সুবিধার অভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। AILRSA আরও দাবি করেছে যে, এর ফলে সতর্কতার মাত্রা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। এমনটা সম্ভবপর নয় কোনও মতেই, উঠছে প্রশ্ন। মধুমেহ রোগাক্রান্ত ট্রেন চালক বা মহিলা লোকো পাইলটরা এমন নিয়মের জেরে অসুবিধায় পড়বেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। বহু ট্রেন রয়েছে, যেগুলো প্রায় ‘ওভারনাইট’ ননস্টপ চলে। লোকো পাইলটরা সেক্ষেত্রে চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা।
রেলের সবক’টি জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে রেল বোর্ড। এহেন বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে ট্রেন চালকদের সর্বভারতীয় সংগঠন। অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন ‘অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন’-র সেক্রেটারি জেনারেল কেসি জেমস। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে ট্রেন চালকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে। রেল কর্মীদের সর্বভারতীয় সংগঠনগুলিও সরব হয়েছে।