ফের ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে উত্তর ভারত। আর সেই প্রতিকূল সময়গুলোতে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুগম রাখতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ করছে রেল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল লোকোমেটিভগুলোতে ফগ ডিভাইস ব্যবহার করা হবে। রেলের গতিবেগ মোটামুটি ৬০-৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা রাখা হবে। প্রচণ্ড কুয়াশা হলে লোকো পাইলটদের কাছে বিশেষ ধরনের ডিভাইস দেওয়ার ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
advertisement
কুয়াশার দিনগুলোতে ট্রেন চালাতে গিয়ে সমস্য়ায় পড়েন রেল কর্তৃপক্ষ। একের পর এক ট্রেন দেরিতে চলে। এর জেরে ট্রেনের পুরো সময়সূচিই ওলটপালট হয়ে যায়। স্টেশনগুলোতেও যাত্রীদের ভিড়় বাড়তে থাকে। সঠিক সময়ে ট্রেন চালানো যায় না। কুয়াশার সময় ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে ডিটোনেটিং সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে কোনও ইঞ্জিন ওই লাইনের উপর দিয়ে গেলে শব্দ করে তা ফেটে যায়। এর জেরে অন্য় চালক সতর্ক হয়ে যান।
আরও পড়ুন: ট্রেনে ঘুমোচ্ছিলেন তরুণী…তার মুখের উপরেই…ছি ছি!! চরম অশ্লীল কাণ্ড ঘটালেন সহযাত্রী প্রৌঢ়
অন্যদিকে হলুদ, কালো উজ্জ্বল স্ট্রিপ দিয়ে বোর্ডগুলিকে উল্লেখ করার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। যাতে কুয়াশার সময়েও তা দেখতে পাওয়া যায়। এলইডি ফ্লাশার লাইট ট্রেনের পেছনে রাখার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। চালকরা যাতে যথাযথ বিশ্রাম পান তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গেটম্য়ানকে সতর্ক করার জন্য় বাঁশির ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে লোকসভার সচিবালয়কে নোটিস! সুপ্রিম কোর্টে কি স্বস্তি পেলেন মহুয়া মৈত্র?
আসলে ফগ পাস ডিভাইসের পুরোটাই বহনযোগ্য। এর সঙ্গে একটি অ্যালার্ম থাকে। ৫০০ মিটার দূরে কিছু থাকলে এই ডিভাইসে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। সেন্ট্রাল রেলে ৫৬০টি ফগ পাস ডিভাইস ব্যবহার হয়েছে। পূর্ব রেলে ব্যবহার হয়েছে ১১০৩টি। পূর্ব মধ্য রেলে ব্যবহার হয়েছে ১৮৯১টি। ইস্টকোস্ট রেলে ব্যবহার হয়েছে ৩৭৫টি৷ উত্তর রেলে ব্যবহার হয়েছে ৪৪৯১টি৷ উত্তর মধ্য রেলে ব্যবহার হয়েছে ১২৮৯টি। উত্তর পূর্ব রেলে ১৭৬২টি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে ১১০১টি। উত্তর পশ্চিম রেলে ৯৯২টি। দক্ষিণ মধ্য রেলে ১১২০টি। দক্ষিণ পূর্ব রেল ২৯৫৫টি। দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলে ৯৯৭টি। দক্ষিণ পশ্চিম রেলে ৬০টি। পশ্চিম মধ্য রেলে ১০৪৬টি৷