জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি চারবাগ স্টেশনের বাথরুম থেকে তীব্র শব্দ আসছিল। তা দেখে যাত্রীরা জিআরপি-তে অভিযোগ করেন। জিআরপি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজায় ধাক্কা দেন, প্রথমে দরজাটি অনেকক্ষণ খোলেনি। খোলার পর ভেতরে দৃশ্য দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান। এর পর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
advertisement
ট্রেন ও রেলস্টেশনে চুরি, ডাকাতি, মাদক পাচার বন্ধ করতে এবং দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের জন্য জিআরপি অভিযান চালাচ্ছে। এই সময় স্টেশনগুলিতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিতে টহল দেওয়া হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার এবং ছাড়ার সময় টহল বাড়ানো হচ্ছে। এই সময় চারবাগ স্টেশনের বাথরুম থেকে একসঙ্গে অনেক মোবাইল ফোন বাজার শব্দ আসছিল। অনেকক্ষণ ধরে ফোন বাজছিল, কিন্তু তোলা হচ্ছিল না।
আরও পড়ুন– চিংড়িহাটা নিয়ে এত টানাটানি কেন? চলতি বছরেই সম্পন্ন হতে পারে মেট্রোর নির্মাণের কাজ
কেউ ফোন না ধরলে তিনি ফোনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন অথবা সাইলেন্ট করে দেন। কিন্তু এখানে তা ক্রমাগত বাজছিল। এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে তাই যাত্রীরা কাছের জিআরপি পোস্টে সব কিছু জানান। এর পরে জিআরপি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁদের সামনেও একই ঘটনা ঘটে। তাঁরা দরজায় কড়া নাড়লেও কোনও সাড়া পাননি। অনেক চেষ্টার পর দরজা খুলে তাঁরা অবাক হয়ে যান, দেখেন ভিতরে একজনের হাতে তিনটি মোবাইল ফোন। ওই ব্যক্তির পোশাক দেখে মনে হয়নি যে তিনটি ফোনই তাঁর! তার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই সূত্রেই আসল কথা বেরিয়ে আসে।
ওই ব্যক্তি ধীরজ নামে আত্মপরিচয় দেন, বলেন যে তিনি বারাবাঁকি জেলার বাসিন্দা। ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ার পর অথবা ট্রেনে ওঠার সময় যাত্রীদের পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে নেওয়াটাই তাঁর পেশা। তিনি এই তিনটি ফোন চুরি করে অফ করার চেষ্টা করছিলেন। চুরির পর সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে গিয়ে অফ করতে চাইছিলেন, কিন্তু তা করে উঠতে পারছিলেন না। এই কারণেই তিনি ধরা পড়ে যান।