লোকো পাইলটের বিফলতা দেখা দিলে এই ব্যবস্থাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রেক প্রয়োগ করে, কারণ এটি ড্রাইভারের ক্যাবে রিয়াল-টাইম লাইন-সাইড সিগনাল প্রদর্শন করে এবং রেডিও ভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রমাগত মুভমেন্ট অথোরিটি আপডেট প্রদান করে।
advertisement
অন্যান্য প্রধান বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে লেভেল ক্রসিং গেটে স্বয়ংক্রিয় হুইসেল বাজানো, সংঘর্ষ প্রতিরোধ করতে লোকোমোটিভ থেকে লোকোমোটিভে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং জরুরীকালীন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতে এসওএস ফাংশন। কবচ ৪.০ ব্যবস্থাটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উপাদান দ্বারা নির্মিত, যার মধ্যে রয়েছে স্টেশন কবচ, এটি লোকোমোটিভকে গাইড করতে লোকো কবচ ও সিগনালিং সিস্টেম থেকে তথ্য লাভ করে, আরএফআইডি ট্যাগ, যা ট্রেনের অবস্থান ও দিক নিরীক্ষণ করতে নিয়মিত বিরতিতে ট্র্যাকের পাশে ও সিগনাল পয়েন্টে স্থাপন করা হয়।
ট্র্যাকের পাশে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল ও যোগাযোগ টাওয়ার দ্বারা গঠিত কমিউনিকেশন ব্যাকবোন, যা লোকোমোটিভ ও স্টেশনের মধ্যে তথ্যের নিরবিচ্ছিন্ন বিনিময় নিশ্চিত করে। এছাড়াও ড্রাইভার মেশিন ইন্টারফেস (ডিএমআই) লোকো পাইলটদের তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ক্যাবের মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন সিগনাল অ্যাসপেক্ট ও মুভমেন্ট অথোরিটি প্রদান করে।
আরও পড়ুন: দীপাবলির পর কী করেন এত প্রদীপ? ফেলে দেন? বড় ভুল! এই ৫ ভাবে কাজে লাগান, সুখ-সমৃদ্ধি উপচে পড়বে
এই ব্যবস্থায় রিলে-ভিত্তিক ইন্টারলকিং, সিগনাল যোগাযোগর জন্য ইউএইচএফ রেডিও, সঠিক লোকেশন ট্র্যাকিং এর জন্য আরএফআইডি, সুরক্ষিত যোগাযোগর জন্য জিএসএম এবং সঠিক সময় সমন্বয়ের জন্য জিপিএস-এর মতো উন্নত প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই একত্রীকরণ রেলওয়ের সুরক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অত্যাধুনিক সমাধান গ্রহণের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন করে।
ভারতীয় রেল দ্বারা ১০,০০০ লোকোমোটিভে কবচ ৪.০ বাস্তবায়ন করাটা এর পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং সুরক্ষার মান উন্নত করার এক বিস্তৃত পদক্ষেপ। কবচ ৪.০-এর মতো প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুগম কার্যকলাপ নিশ্চিত করবে, মানুষের ত্রুটি কম করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করবে। এভাবে, এই উদ্যোগটি আমাদের ট্রেন যাত্রীদের জন্য এক সুরক্ষিত ভ্রমণ পরিবেশ প্রদানের ক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
যেহেতু কবচ ব্যবস্থাটি ইতিমধ্যে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের প্রধান প্রধান পথগুলিতে স্থাপন করা হয়েছে, তাই পাইলট প্রকল্পের ভিত্তিতে বর্তমানের ব্যবস্থাকে আধুনিক ৪.০ ব্যবস্থা দ্বারা পরিবর্তন করা হচ্ছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে দেশের রেল সংযোগ ব্যবস্থার অংশ হওয়ার জন্য এই উন্নত প্রযুক্তিকে দ্রুত একত্রিত করবে, যার ফলে এর চারপাশের অঞ্চলের মধ্যে নিরাপদ, অধিক নির্ভরযোগ্য এবং দক্ষ রেল পরিষেবা প্রদান করবে।