নিহত যাত্রীর নাম আলি খান (৬২)। রেলের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির ফলেই এমন দুর্ঘটনা বলেই উঠেছে অভিযোগ। এই ঘটনায় দায় যদিও অস্বীকার করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনার কথা তারা নিজেরাই জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে আলি খান ট্রেনের স্লিপার কোচে দিল্লি যাচ্ছিলেন। নিচের সিটে বসে ছিলেন তিনি এবং আচমকা তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে আপার বার্থ। সিট এবং আপার বার্থের যাত্রীর ওজনের ফলেই গুরুতর আঘাত পান তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি অস্ত্রোপচারের সময় মারা যান বলেই খবর।
advertisement
আলি খান মালাপ্পুরমের পোন্নানির বাসিন্দা। পেশায় এলআইসি এজেন্ট। গত ১৫ জুন রাতে বন্ধু মহম্মদের সঙ্গে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। জলন্ধরে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জুন সন্ধ্যায়। তিনি নিচের সিটে ছিলেন। তেলেঙ্গানার ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সহযাত্রীরা দ্রুত টিটিইকে জানান। ওয়ারঙ্গল স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে আলিকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনার প্রায় ১০০ কিলোমিটার পরে থামানো হয়।
রেল পুলিশ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রেল মন্ত্রকের তরফে যদিও উপরে থাকার যাত্রীর ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়েছে। এস/৬ কোচের ৫৭ নম্বর সিটে উপরের বার্থে যাত্রী ঠিকমতো বার্থটিকে চেইনের সঙ্গে আটকাতে পারেননি বলে এই দুর্ঘটনা বলে জানানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই লোয়ার বার্থে যাত্রা করার সময়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না।
