পূর্ব-রেলের আসানসোল ডিভিশনের পানাগড় স্টেশন ও শিয়ালদহ ডিভিশনের কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশন দু’টিও যাত্রীসংখ্যার নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই স্টেশনের মধ্যে পানাগড় স্টেশনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছাউনি থাকার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই দু’টি স্টেশনেও প্ল্যাটফর্মের আধুনিকীকরণ, উন্নততর আলোর ব্যবস্থা, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্নদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা, আগের চেয়ে অনেকটাই বড় ওয়েটিং রুম এবং যাত্রীদের জন্যে অন্য আরও সুবিধাজনক ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পকেটে ৩৩০ টাকা, অমৃতসরে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ঘুরছিলেন বৃদ্ধ! ঠিক চিনে নিল বিএসএফ
পানাগড় স্টেশনের একদিকে রয়েছে সেনার ছাউনি। অন্য দিকে রয়েছে বায়ু সেনার এয়ারবেস। তাই সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি জওয়ান এবং তাঁদের পরিবারদের জন্য বহু দূরপাল্লার ট্রেনই থামে পানাগড়ে। এ বার তাঁদের সুবিধা করে দিতে তৈরি করা হয়েছে ঝাঁ চকচকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন বিশ্রামাগার। যাত্রীদের ওভারব্রিজে ওঠা-নামার সুবিধার জন্য স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসানো হয়েছে লিফট।
কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনটি কল্যাণী থেকে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনের মাঝে অবস্থিত। সারাদিনে ১৪টি করে আপ ও ডাউন ট্রেন কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশন দিয়ে চলাচল করে। এই স্টেশনের পাশেই রয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কল্যাণীর সরকারি আইটিআই। প্রচুর পড়ুয়া, অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা এই স্টেশন ব্যবহার করেন। এছাড়া সতীমায়ের মেলার জন্যও পরিচিত এই স্টেশন। শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, স্টেশন ভবনের পরিকাঠামো বদল, বিশ্রামাগার, শেডের উন্নয়ন, জিপিএস ঘড়ি, শৌচাগার, বসার আসন, পানীয় জল সবই আধুনিক মানের করে তৈরি করা হয়েছে।