মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টের অংশ হিসেবে তৈরি হবে এই লাইট ট্যাঙ্ক। ওজন কম হাওয়ায় অরুণাচলের মত পাহাড়ি এলাকায় সহজেই দ্রুত গতিতে অ্যাকশনের নামতে পারবে সেনার ক্যাভেলরি ব্রিগেড।
অনেকদিন ধরেই জোরাওয়ার ট্যাঙ্ক নিয়ে আশাবাদী ভারতীয় সেনা। লারসন অ্যান্ড টুরবো এবং ডিআরডিও- র যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি জোরাওয়ার অন্যান্য ট্যাঙ্কের থেকে অপেক্ষাকৃত কম ওজনের।
advertisement
তবে ফায়ারপাওয়ার বা অস্ত্রবহন ক্ষমতায় টি ৯০ বা টি ৭২ র থেকে কোনও অংশে কম যায় না এই ট্যাঙ্ক। জোরাওয়ারের সবথেকে সুবিধা রোলার ব্লেডে। মাটি ছাড়া জলেও বা জলাভূমিতেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারে এই ট্যাঙ্ক।
চিনা সেনা অরুণাচলের মত পাহাড়ি এলাকায় এমনই লাইট ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে বলে খবর। চিনের মোকাবিলা করার জন্য এবার ভারতীয় সেনার হাতেও থাকবে ট্যাঙ্ক জেরাওয়ার।
অরুণাচলের ফরওয়ার্ড বেস প্রায় সবকটাই ১৩,০০০ ফুটের বেশি উচ্চতায়। পাহাড়ি রাস্তায় ভারি ট্যাঙ্কের গতি কমে যায়। তবে জোরাওয়ারের মতো ট্যাঙ্ক বানানো হয়েছে পার্বত্য এলাকার কথা মাথায় রেখেই।
জোরাওয়ার ট্যাঙ্কেই এবার সিলমোহর লাগানোর জন একপ্রকার তৈরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সূত্রের খবর এই সপ্তাহেই দিল্লির সাউথ ব্লকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অনুমোদন পেতে চলেছে জোরাওয়ার। ৩৫৪টি জোরাওয়ার ট্যাঙ্ক আসতে পারে ভারতীয় সেনার হাতে।
আরও পড়ুন, বড় সাফল্য সেনার! কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত ৩ জঙ্গি
সূত্রের খবর, অরুণাচলের কথা মাথায় রেখে চিনা সীমান্তের কাছে ভারতীয় সেনার একাধিক ফরওয়ার্ড লোকেশনে মোতায়েন করা হতে পারে জোরাওয়ার ট্যাঙ্কগুলি।
আরও পড়ুন, দিল্লি নয়, সাত দিনের জন্য় অনুব্রতর ঠিকানা দুবরাজপুর থানা! তড়িঘড়ি বৈঠকে ইডি
এই পার্বত্য এলাকায় এখন ভারতের হাতে রয়েছে টি৯০ এবং টি৭২ ট্যাঙ্ক। চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে ৩৫৪ টি জোরাওয়ার লাইট ট্যাঙ্ক পেতে পারে ভারতীয় সেনা।