দেশের তৈরি ওই গাড়ির পোশাকি নাম ‘রাফ টেরাইন ভেহিকল্’। সেনা, রসদ এবং ভারী সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের পাশাপাশি দুর্গম অঞ্চলে আহত বা অসুস্থ হয়ে পড়া সেনাদের উদ্ধারেও সহায়তা করতে পারবে এই যান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ বিষয়ে দরপত্র দিতে ইচ্ছুক সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে, অন্তত ১৬ হাজার ফুট উচ্চতার, মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করতে সক্ষম গাড়ি কিনতে চেয়েছে সেনা।
advertisement
অন্তত ৩০ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন এবং ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে চলার ক্ষমতাও থাকা প্রয়োজন। উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই বাছাই করা হবে সেই যান। পূর্ব লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং লাগোয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় চিনের মোকাবিলায় নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা ঢেলে সাজছে ভারতীয় সেনা।
প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং আধুনিক অস্ত্রসম্ভার ও নজরদারি সরঞ্জাম মোতায়েনের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা দুর্গম ওই এলাকায় দ্রুত যাতায়াতের উপযোগী যানবাহনের সংস্থানের দিকে। ফাস্ট ট্র্যাক প্রক্রিয়া মেনে এই গাড়ি নেওয়া হবে।
সেনা জানিয়েছে যে সংস্থাকে কন্ট্রাক্ট দেওয়া হবে তাদের চুক্তি সই করার এক বছরের মধ্যে সব গাড়ি সাপ্লাই দিতে হবে। কমপক্ষে চার বছরের ওয়ারেন্টি এবং যাতে কমপক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত গাড়িগুলো টিকে যায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে বানানোর সময়। প্রয়োজনে এই গাড়িগুলো শুধু পাহাড়ে নয় মরুভূমিতেও ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও পাহাড়ে ব্যবহার করা যায় এমন হালকা ওজনের ট্যাংক জরাওয়ার বানানোর কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ হতে আরো ছয় মাস।