উত্তর কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর জঙ্গি দমন অভিযান এবং নিরাপত্তা নজরদারির দায়িত্বে থাকে ১৫ নম্বর চিনার কর্পস-এর অধীনস্ত ১৯ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন৷
আরও পড়ুন: খুলছে বন্ধ খাতা! শিনা বোরা খুনে বাড়ছে জটিলতা, পরবর্তী শুনানি ৩ মার্চ
মেজর জেনারেল চাঁদপুরিয়া বলেন, 'আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতির যথেষ্ট প্রভাব আমাদের দেশের নিরাপত্তার উপরে পড়ছে৷ বিশেষত জম্মু কাশ্মীরে এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে৷ আমেরিকার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে আফগান জঙ্গিরা এতদিন লড়াই করছিল, তাদের এখন আর অন্য কোনও কাজ নেই৷ তাদেরকেই কাজে লাগানো হচ্ছে৷'
advertisement
ওই সেনাকর্তা আরও বলেন, 'তার উপরে নাইট ভিশন ডিভাইস, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সহ মার্কিন বাহিনীর ফেলে যাওয়া প্রচুর আধুনিক সাজ সরঞ্জাম আফগানিস্তানে পড়ে রয়েছে৷'
আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, কাবুল দখল করার পর তালিবানরা আফগানিস্তানের জেলে বন্দি বহু জঙ্গিকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়েছে৷ জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার বহু প্রশিক্ষিত জঙ্গি ইতিমধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্যাম্প এবং লঞ্চ প্যাডে পৌঁছে গিয়েছে৷
গত প্রায় একবছর ধরে পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে৷ যার ফলে জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্য পাকিস্তান সেনার পক্ষ থেকে জঙ্গিদের সাহায্য করে কভার ফায়ারও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷
আরও পড়ুন: ভারতের জলসীমায় মারাত্মক ঘটনা, ধরা হল ৮৮ জনকে! তারা কারা জানেন?
মেজর জেনারেল চাঁদপুরিয়ার দাবি অনুযায়ী, এই মুহূর্তে খুব কম করে হলেও অন্তত একশো থেকে ১৩০ জন জঙ্গি ভারতীয় সীমান্তের উল্টোদিকে লঞ্চ প্যাডগুলিতে ঘাঁটি েগড়ে রয়েছে৷ ওই সেনাকর্তার দাবি অনুযায়ী, 'গত এক বছরে আমরা জঙ্গি অনুপ্রবেশের যে প্রচেষ্টাগুলি রুখেছি, সেই ঘটনাগুলিতে আমরা অত্যাধুনিক মার্কিন অ্যাসল্ট রাইফেল, থার্মাল ইমেজিং নাইট ভিশন ডিভাইসের মতো সাজ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি৷'
২০২১ সালে মোটের উপরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি বজায় ছিল৷ কিন্তু গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছরের গ্রীষ্ম কাল পড়লেই বড়সড় জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা শুরু হবে৷ মেজর জেনারেল চাঁদপুরিয়াও মনে করেন, মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আফগান জঙ্গিরাই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে জড়ো হচ্ছে৷
Aditya Raj Kaul