১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময়ে প্রাথমিক অবতরণের এয়ারস্ট্রিপ হিসেবে নিওমা তৈরি করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন সেই এয়ারস্ট্রিপ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। ২০০৮ সালে বাহিনীর নজরে আসার পর বিশেষ করে ২০২০ সালে ভারত-চিন সীমান্তে দুই পক্ষের সেনার মধ্যে অচলাবস্থার পর কেন্দ্রীয় সরকার নিওমাকে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিমান ঘাঁটি তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মুহূর্তে এতে ২.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাকা রানওয়ে রয়েছে, প্রস্থে ৪৬ মিটার বা ১৫১ ফুট। পাশাপাশি, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন বা BRO’র সৌজন্যে হ্যাঙ্গার, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল, আবাসনও তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
ভারতীয় বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই এই ঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান পরিচালনার ছাড়পত্র দিয়েছে। পরে আরও বিভিন্ন ধরনের সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার এখানে অবতরণ করবে বলে আশাবাদী সকলেই। আগামিতে সামরিক পরিবহন বিমানও এখানে নামতে পারবে। আগে নিওমা এয়ারস্ট্রিপে AN-32-এর মতো মাঝারি মাপের সামরিক পরিবহন বিমান নেমেছে তবে এখন C-17 গ্লোবমাস্টার, IL-76 এবং C-130 সুপার হারকিউলিসও নামতে পারবে।
লেহ এবং থোয়েস বিমানঘাঁটির পর নিওমা লাদাখের তৃতীয় বিমানঘাঁটি হলেও এর কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম। নিওমায় সারা বছর IAF-এর জওয়ানরা থাকবেন তাই স্বাভাবিকভাবেই চিনের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশেই বেড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। সীমান্ত বরাবর নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। এই ঘাঁটি থেকে ড্রোন উড়িয়ে বা ড্রোন পাঠিয়ে হামলা চালানোও যেতে পারে।
