Moneycontrol-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৈষ্ণব বলেন, “এই বিষয়ে সরকারের মধ্যে কোনও আলোচনা পর্যন্ত হয়নি। কোনও মহল থেকেই এ ধরনের কোনও প্রস্তাব আসেনি।” তিনি এই মন্তব্য করেছেন এমন এক সময়ে যখন TikTok-এর মূল সংস্থা ByteDance-এর ভারত ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছিল।
গুজব আরও জোরালো হয় যখন গত মাসে TikTok-এর ওয়েবসাইট ভারতে অল্প সময়ের জন্য কিছু ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল নেটওয়ার্কে (যেমন Airtel ও Vodafone) অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে ওঠে। এই অল্প সময়ের প্রযুক্তিগত ত্রুটির (glitch) ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয় যে টিকটক হয়তো ভারতে ফিরে আসছে! তবে সরকার এখন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই জল্পনার কোনও ভিত্তি নেই।
advertisement
টিকটক ভারতে জুন ২০২০-তে নিষিদ্ধ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় নিরাপত্তা ও তথ্য গোপনীয়তা-র উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে ৫৯টি চীনা অ্যাপ ব্লক করে। এর পর অ্যাপল ও গুগল দ্রুতই এই অ্যাপগুলো তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে দেয়। এই নিষেধাজ্ঞা ২০২১ সালের জানুয়ারিতে স্থায়ী করে দেওয়া হয়। সেই সময়ে ভারত ছিল TikTok-এর সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারীদের দেশ। ২০০ মিলিয়নের বেশি (২০ কোটির বেশি) মানুষ ভারতে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতেন।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে মৃত্যুমিছিল! গণেশ পুজোর বিসর্জনে একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা! মৃত অন্তত ২২
TikTok ছাড়াও এর মূল কোম্পানি ByteDance-এর অন্যান্য অ্যাপগুলোর ওপরও একই রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পরে ByteDance-কে তাদের মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘Resso’ ভারতে বন্ধ করে দিতে হয়। কারণ এটি Google Play Store ও Apple App Store থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
চিনা বিনিয়োগকারীরা কি আবার ভারতের টেক ইকোসিস্টেমে সক্রিয় হতে পারে! এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, সরকার এই বিষয়ে একটি স্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করবে। তিনি বলেছেন, “ঘটনাপ্রবাহ অনুযায়ী দেখা হবে। পরিকল্পনা সবার সঙ্গে পরিষ্কারভাবে ভাগ করে নেওয়া হবে। আমরা একটি অত্যন্ত স্বচ্ছ দেশ।”