এসবের মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে৷ সেখানে তিনি একটি পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলের অ্যাঙ্করকে বলছেন যে ইন্ডিয়ার ১৬ লাখ সেনার সামনে আমাদের মাত্র ৬ লাখ সৈন্য আছে, যারা ভারতের সামনে কোথাও টিকতে পারে না। এই কথাটি যে সত্যি, সেটা পাকিস্তানের আর্মির কর্মকর্তা থেকে সৈনরাও জানে।
advertisement
প্রথমেই জানুন যে, সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে ভারতের পাল্লা পাকিস্তানের থেকে অনেক ভারী। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী৷ সেখানে ১৪.৫৫ লাখ সৈন্য এবং ১১.৫৫ লাখ রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে।
শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ভারতের কাছে ২৫.২৭ লাখ প্যারামিলিটারি ফোর্সও রয়েছে যারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারে। এই ফোর্সগুলি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এখন যদি পাকিস্তানের কথা বলি তাহলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে মাত্র ৬.৫৪ লাখ সক্রিয় সৈন্য রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রায় ৫ লাখ প্যারামিলিটারি বাহিনী রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে রিজার্ভ বাহিনীর সংখ্যা কত তা সম্পর্কে স্পষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, তবে এটি ভারতের থেকে অনেক কম।
আরও পড়ুন: ভারত পাক সম্পর্ক তলানিতে, পরমাণু আক্রমণ হলে কী করবেন! বাঁচার উপায় জানুন…
এমন পরিস্থিতিতে যদি পাকিস্তানের পুরো সেনাবাহিনী এবং ফোর্সকে একত্রিত করা হয় তবুও এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংখ্যা বলের সামনে কোথাও টিকতে পারবে না।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন, “ভারতের ১৬ লাখ সেনার সামনে আমাদের মাত্র ৬ লাখ সৈন্য বেশি টিকতে পারবে না। একমাত্র আমেরিকা এবং চীনই যুদ্ধ থামিয়ে আমাদের ভারতের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।”
স্থল সেনা: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ১৪.৫৫ লাখ সৈন্য রয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল সেনা। ভারতের কাছে টি-৯০ ভীষ্ম, অর্জুনের মতো ৪,৬১৪ ট্যাঙ্ক, ১.৫১ লাখ সাঁজোয়া গাড়ি এবং ৩,২৪৩ কামান রয়েছে। পাশাপাশি পিনাকা রকেট লঞ্চার এবং ব্রহ্মোস মিসাইলের মতো শক্তিও রয়েছে যা এটিকে আরও শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক করে তোলে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের কাছে মাত্র ৫.৬০ লাখ সৈন্য রয়েছে। ট্যাঙ্কের সংখ্যা ৩,৭৪২। ৫০,৫২৩ সাঁজোয়া গাড়ি রয়েছে। মিসাইলের মধ্যে বাবর এবং শাহীন রয়েছে, যা ভারতের মিসাইলের সামনে কোথাও টিকতে পারবে না।
বায়ুসেনা: আকাশে কার রাজ? ভারত: ভারতীয় বায়ুসেনাও পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে। বায়ুসেনায় ১.৬৫ লাখ কর্মী এবং ২,২২৯ বিমান রয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে রাফেল, সুখোই, তেজসের মতো ৬০৬ ফাইটার জেট, ৮৬৯ হেলিকপ্টার এবং ৪০ আক্রমণ করতে পারে এমন হেলিকপ্টার রয়েছে। আকাশ, S-400 এর মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং MQ-9B ড্রোন রয়েছে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানি বায়ুসেনায় মোট ৭০,০০০ কর্মী এবং ১,৪৩৪ বিমান রয়েছে। এর মধ্যে JF-17, F-16 এর মতো ৩৮৭ ফাইটার জেট, ৩৫২ হেলিকপ্টার এবং ৫৭ আক্রমণ করতে পারে এমন হেলিকপ্টার রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে চীন থেকে আনা কিছু চীনা ড্রোন এবং HQ-9 ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে যা ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।
নৌসেনা: সমুদ্রে কে এগিয়ে? ভারত: ভারতের কাছে নৌসেনায় ৬৭,০০০ কর্মী এবং ২৯৪ জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে INS বিক্রমাদিত্য, বিক্রান্তের মতো ২ এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, অরিহন্তের মতো নিউক্লিয়ার ১৮ সাবমেরিন এবং ব্রহ্মোস মিসাইল রয়েছে। বিশেষ বিষয় হল ভারত তার জাহাজ নিজেই তৈরি করে।
পাকিস্তান: পাকিস্তানের নৌসেনায় মোট ৩৫,০০০ কর্মী রয়েছে এবং মাত্র ১১৪ জাহাজ রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে কোনো এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নেই। সাবমেরিন মাত্র ৮টি রয়েছে। অস্ত্রের মধ্যে হার্পুন এবং বাবর মিসাইল রয়েছে। সেগুলোও চীন থেকে আসে।