আরও পড়ুন- বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম! স্রেফ ওষুধেই নির্মূল ক্যান্সার, চাঞ্চল্য চিকিৎসা মহলে!
“সম্প্রতি প্রকাশিত এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (EPI) ২০২২ ভিত্তিহীন, এতে স্রেফ অনুমানের উপর ভিত্তি করে অনেক সূচক রয়েছে। কর্মক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত এই সূচকগুলির মধ্যে বেশ কিছুই অনুমান এবং অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে গৃহীত,” এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রক।
advertisement
“জলবায়ু নীতির একটি নতুন সূচক হল ‘২০৫০ সালে অনুমিত GHG নির্গমনের মাত্রা’। দীর্ঘ সময়কালে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষমতা এবং ব্যবহারের পরিধি, সংশ্লিষ্ট দেশের অতিরিক্ত কার্বন সিঙ্ক, শক্তি দক্ষতা ইত্যাদি বিবেচনা করার বদলে গত ১০ বছরের নির্গমনে পরিবর্তনের গড় হারের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়েছে এটি,” দাবি মন্ত্রকের।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, যে সূচকে ভারতের অবস্থান ভাল ছিল তার মান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই ধরনের পরিবর্তনের কারণগুলিও প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়নি। মাথাপিছু GHG নির্গমন এবং GHG নির্গমন তীব্রতার প্রবণতার মতো সূচকগুলির ইক্যুইটির নীতিকে খুব কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, দাবি মন্ত্রকের।
আরও পড়ুন- সাহায্য চাই? দেশের এই বিমানবন্দরে এবার হাসিমুখে এগিয়ে আসবে রোবট বন্ধুরা!
জলের গুণমান, জল ব্যবহারের দক্ষতা, মাথাপিছু বর্জ্য উত্পাদনের সূচকগুলিকে অন্তর্ভুক্তই করা হয়নি বলে দাবি মন্ত্রকের। সূচকটিতে সুরক্ষার গুণমানের চেয়ে সুরক্ষিত এলাকার পরিমাণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। “সংরক্ষিত এলাকা এবং পরিবেশ সংবেদনশীল অঞ্চলগুলির ব্যবস্থাপনা, কার্যকারিতা এবং জীববৈচিত্র্য সূচকগুলির গণনার মধ্যে ধরাই হয়নি,” জানিয়েছে মন্ত্রক।
সূচকটিতে বাস্তুতন্ত্রের পরিমাণ গণনা করা হলেও তাদের অবস্থা বা উত্পাদনশীলতা গণনা করা হয়নি। এতে কৃষি জীববৈচিত্র্য, মাটির স্বাস্থ্য, খাদ্যের ক্ষয় এবং বর্জ্যের মতো সূচক অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বড় কৃষিনির্ভর জনসংখ্যার উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য এই বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রক তাই স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে, এই “বিশ্লেষণ গ্রহণ করছে না ভারত”।