কেন্দ্র সরকার দেশের সব রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল আগেই। এর মূল লক্ষ্য হল – যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জনগণকে নিরাপদ রাখা। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে যাতে সবাই নিজেকে ঠিক রাখতে পারে৷
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কোমর ভাঙতে কেন রাফালই বেছে নিয়েছিল ভারত! দেশে আসছে আরও ২৬টি রাফাল…
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও হরিয়ানা সহ দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই মক ড্রিল চলবে। প্রায় ২৪৪টি জেলা এতে অংশ নেবে। এয়ারস্ট্রাইকের সময় যেভাবে সাইরেন বাজে, সেভাবেই ৭ মে সারাদেশে সাইরেন শোনা যাবে। এই প্রস্তুতি দেখে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে – যুদ্ধ কি সত্যিই আসন্ন? পারমাণবিক হামলা কি হবে?
advertisement
অনেকেই বলছেন, সঠিক তথ্য থাকলে মৃত্যুকেও হার মানানো যায়। যদি কখনও পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়, তাহলে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তথ্য ও সতর্কতা। হ্যাঁ, ভারত-পাক যুদ্ধ হলে পারমাণবিক হামলার মধ্যেও আপনি বাঁচতে পারেন – যদি আপনি দ্রুত ও সচেতনভাবে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: কেদারনাথে ভয়ঙ্কর ভাইরাসের হানা! একসঙ্গে ১৪টি ঘোড়ার মৃত্যু, দিল্লি থেকে আসছে বিশেষ দল…
যদি কোথাও পারমাণবিক বোমা পড়ার সতর্কবার্তা পাওয়া যায়, তাহলে ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে। বাইরে দৌড়ে পালানোর বদলে সঙ্গে সঙ্গে কোনও পাকা দালান বা বেসমেন্ট বা বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হবে।
কংক্রিটের দেয়াল বা মাটির পুরু স্তর রেডিয়েশন থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই পারমাণবিক হামলার সময় জানালা বা বাইরের দেওয়াল থেকে দূরে থাকুন। কারণ বিস্ফোরণের জেরে কাচ ভেঙে গিয়ে গুরুতর আঘাত লাগতে পারে।
যদি আপনি পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় রাস্তায় বা খোলা জায়গায় থাকেন, তবে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে শুয়ে পড়ুন ও দুই হাত দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। এতে কিছুটা হলেও নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
এসব তথ্য আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে জীবনরক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় যারা নিরাপদ দূরত্বে এবং সঠিক আশ্রয়ে থাকেন, তাদের বাঁচার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই যুদ্ধের সম্ভাবনা কেন এত বেড়ে গেছে? পহেলগাঁও হামলার পর ভারত পাকিস্তানের উপর ক্রমশ ক্ষিপ্ত হয়েছে। পাকিস্তান একদিকে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে, অন্যদিকে জাতিসংঘে অভিযোগ করছে যে ভারত তার উপর হামলা করতে চলেছে। এবং তাদের সেই আশঙ্কাই শেষমেশ সত্যি হল৷