মঙ্গলবার আবু ধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের মধ্যে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা।
এছাড়া ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই সম্মত হয়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মহিলাদের ক্ষমতায়ন হলেই দেশ এবং রাজ্যের অগ্রগতি সম্ভব: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
advertisement
গাজার সংঘাত এবং লোহিত সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি গোটা বিষয়ের উপর নজর রেখেছে। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নোট চালাচালিও হয়। বুধবার আবু ধাবিতে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন বিনয় কোয়াত্রা। তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং গতি বজায় রাখা – দু’টোই সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে আশাবাদী আমেরিকাও। সমুদ্র এবং রেলপথে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, জর্ডন এবং ইজরায়েলকে যুক্ত করাই ছিল এর লক্ষ্য। এর সঙ্গে জুড়বে ইউরোপ। বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পণ্য পরিবহণে গতি আনাই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি এই প্রকল্পকে এই অঞ্চলে চিনের প্রভাব এবং ব্যাপক অবকাঠামো বিনিয়োগের মোকাবিলার পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন তাবড় বিশেষজ্ঞরা।
মোদির সফরে একটি দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ডিজিটাল অবকাঠামো বিস্তারে গাঁটছড়া বাঁধছে দুই দেশ। বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে এই খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন মোদি। দুই দেশের সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্টকে ‘আমার ভাই’ বলে বুকে টেনে নেন। বুধবার এখানে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করার কথা মোদির।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সফর শেষ করে কাতার যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতের ৮ প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল সে দেশের আদালত। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের পর প্রত্যেককেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কৃষক আন্দোলন চলবেই, জানালেন নেতারা, হরিয়ানায় বন্ধ ইন্টারনেট, পঞ্জাবে সতর্কতা
তাঁদের মধ্যে ৭ জন ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন। এরপরই কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকদের মুক্তির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয় বলে এই সপ্তাহের শুরুতেই জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব।