ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং প্রশিক্ষণ বিনিময়ের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে। এতে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), সাইবার নিরাপত্তা, আধুনিক অস্ত্র প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
advertisement
প্রতিরক্ষা দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই “গভীর বিশ্বাস ও কৌশলগত বোঝাপড়া”-র ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। উভয় দেশ সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত সুরক্ষা ও তথ্য নিরাপত্তার মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, ফলে এই সহযোগিতা দুই দেশের প্রতিরক্ষা নীতিকে আরও দৃঢ় করবে।
তেল আভিভে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ সচিব (প্রতিরক্ষা উৎপাদন), আর ইসরায়েলের তরফে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান। বৈঠকে দুই পক্ষই পারস্পরিক প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ, যৌথ প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি শুধু প্রতিরক্ষা ক্রয় বা বিক্রির সীমায় সীমাবদ্ধ নয় — বরং এটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তি ও স্বনির্ভর সামরিক উৎপাদনের পথ খুলে দেবে। ভারত ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের কাছ থেকে উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ড্রোন সংক্রান্ত সহায়তা পেয়েছে। এবার সেই সহযোগিতা আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল।
আরও পড়ুন: ‘বিহার ভোট থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল,’ রাহুল গান্ধির ভোটচুরির অভিযোগে প্রতিক্রিয়া বিজেপির
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, এই চুক্তির লক্ষ্য দুই দেশের “দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বকে নতুন গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া”। ভবিষ্যতে যৌথ উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হাব গঠনের দিকেও পরিকল্পনা চলছে।
সব মিলিয়ে, ভারত–ইসরায়েল প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এখন শুধু কৌশলগত সহযোগিতায় সীমাবদ্ধ নয় — বরং এটি দুই দেশের নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সক্ষমতার এক নতুন যুগের সূচনা করছে।
