বিনিয়োগ থেকে শুরু করে উপভোক্তাদের অনীহা ক্ষতি করছে অর্থনৈতিক গ্রোথের ক্ষেত্রে৷ ভয়ের পরিস্থিতি আরও বাড়াচ্ছে আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম ৷ বিশ্ব মানচিত্রে দ্রুত গতিতে নিজের আধিপত্য বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এইসব কারণ ৷ নিজেদের বার্ষিক মূল্যায়নের রিপোর্টে এটাই তুলে ধরেছে IMF ৷
নিজেদের রিপোর্টে তারা দাবি করেছে দারিদ্রসীমা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করার পর ভারতে এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি কার্যত রুদ্ধ৷ আইএমএফ এশিয়ার পক্ষ থেকে রানিল সালগাদো সংবাদমাধ্যমকে এই ভয়ের পরিস্থিতির বিষয়ে ওয়াকিবহাল করেছেন ৷ এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ভারতকে যদি নিজেদের হৃত শক্তি পুনরুদ্ধার করতে হয় তাহলে দ্রুত এই অর্থনৈতিক মন্দা কাটানোর জন্য কার্যকারী অ্যাকশন প্ল্যান নিতে হবে ৷
advertisement
আরও পড়ুন - শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া সফরে দলে ফিরলেন ধাওয়ান ও বুমরাহ
তবে সরকারের হাতে এই মুহূর্তে সীমিত ক্ষমতাই আছে কারণ প্রচুর ঋণ ও সুদের চাপ রয়েছে - এই বলেও সতর্ক করেছে আইএমএফ ৷ গত সপ্তাহে আইএমএফের অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানিয়েছেন ভারতের এই অর্থনৈতিক স্লো ডাউন খুবই নিম্নমুখী এবং বিস্ময়কর ৷ এর জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের জায়গা অনেকটাই নেমে যাবে ৷
অক্টোবরেই আইএমএফ এই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে ২০১৯ ফুলপয়েন্ট ৬.১ হবে , যা ২০২০ তে ৭.০ আশা করা হয়েছিল ৷ সালগাদো আরও বলেছেন , যদি এইভাবে অর্থনৈতিক মন্দা চলতে থাকে তাহলে ব্যাঙ্কগুলিরও কোনও জায়গা থাকবে না রেট আরও কমানো ছাড়া ৷
নয় বছরে সবচেয়ে কম রেট করতে বাধ্য হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৷ এ বছরে পাঁচবার এভাবে রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৷ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বিকাশের মান ৬.১ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ৷
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ভারতের যে বিকাশ হয়েছে তা গত ছয় বছরে সবচেয়ে শ্লথ ৷ একবছর আগে যেটা ৭.০ ছিল সেটা কমে মাত্র ৪.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে ৷ সরকারি পরিসংখ্যানই এই তথ্য দিয়েছে জানিয়েছেন সালগাডো৷ তাঁর পরামর্শ সরকারকে এখুনি দারুণ কার্যকারী অর্থনীতিতে চাঙ্গা করার পদক্ষেপ নিতেই হবে ৷
আরও দেখুন
