এক সাংসদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন জানিয়েছেন, চিনের পাশাপাশি সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন: স্বীকৃতি পায়নি প্রথম শপথ ! সংসদে দু'বার শপথ নিলেন কপিল সিবাল !
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব ভারত সহ অন্যান্য দেশ। ভি মুরলিধরন জানিয়েছেন, এই নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এবং বহু প্রার্থী বৈঠকে বিষয়টি তুলেছে নয়াদিল্লি। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় চিনের বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার এমন ভাবে হওয়া উচিত, যাতে পরিষদের কর্তৃত্ব এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, প্রতিনিধিত্ব বাড়ে, উন্নয়নশীল দেশগুলির মতামতও উঠে আসে যাতে ছোট ও মাঝারি দেশগুলি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেওয়ার মহৎ সুযোগ পায়। এই সংস্কার করা উচিত বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আলোচনার মাধ্যমে এবং এমন একটি সমাধান বের করতে হবে যাতে সমস্ত পক্ষের স্বার্থ অক্ষুন্ন থাকে এবং উদ্বেগের অবসান হয়।"
advertisement
সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে চিনের।প্যাংগং হ্রদের উপরে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করছে চিন। এই সেতুর উপর দিয়ে অস্ত্র সজ্জিত গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। ২০২১ সালের শেষের দিকে প্যাংগং হ্রদের উপর প্রথম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল চিন। গতমাসে সেটির কাজ শেষ হয়েছে।
এবার প্রথম সেতুকে ব্যবহার করে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চিনা সেনা। এপ্রিলে নির্মাণকাজ শেষ করা প্রথম সেতুর উপর দিয়ে ক্রেন-সহ নির্মাণ সামগ্রি আনা হচ্ছে। দ্বিতীয় সেতুটি প্রথম সেতুটির থেকে আকার আয়তনে অনেকটাই বড় বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, খুরনক থেকে রোডক দিয়ে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ তির পর্যন্ত পৌঁছানর যে সরু পথ রয়েছে তার দৈর্ঘ ১৮০ কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণের ফলে এই দীর্ঘ পথ কমে হয়ে যাবে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার।