পাকিস্তানের কোথায় জইশের ঘাঁটি, কীভাবে চলে জঙ্গি শিবির ? তথ্য-প্রমাণ দিয়ে পাকিস্তানকে ডসিয়র দিয়েছিল নয়াদিল্লি। ২৭ তারিখ সেই নথি জমা পড়ার পরও পাক প্রশাসন হাত গুটিয়ে।
উল্টে জইশের সঙ্গে যোগাযোগের কথা মেনে নিচ্ছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। তাই এবার ডসিয়ারে অতিরিক্ত তথ্য জুড়়তে চলেছে কেন্দ্র। পাকিস্তানে শীর্ষ জইশ জঙ্গিদের গতিবিধির প্রামাণ্য নথি এবং জইশের সহযোগী সংগঠনের ভারত বিরোধী কাজের প্রমাণ ৷
advertisement
একইসঙ্গে পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই তার সুফলও মিলেছে। এবার এই কৌশলে আরও একধাপ এগোল কেন্দ্র। পাকিস্তানে ঘাঁটি গাড়া ২০ জন শীর্ষ জঙ্গি নেতার নাম সহ যাবতীয় তথ্য ২৫টি দেশের হাতে তুলে দেওয়া হল
আল বদর, হিজবুল মুজাহিদিন, হরবখৎ উল মুজাহিদিনের শীর্ষনেতারা
ওয়াধাওয়া সিং, রণজিৎ সিং ও পরমজিৎ সিংয়ের মতো খালিস্তানপন্থী নেতা
তালিকায় দাউদ ইব্রাহিমের নামও রয়েছে ৷ এই জঙ্গিদের দ্রুত প্রত্যার্পণে পাকিস্তানকে চাপ দেওয়ার দাবিও তুলেছে কেন্দ্র। ইসলামিক দেশগুলির বৈঠকেও একই দাবি তুলেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
পাকপন্থী সংগঠনগুলির শিরদাঁড়া ভেঙে দিতেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র। গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি জামাই এ- ইসলামিকে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারপর থেকেই এই সংগঠনের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে। গ্রেফতার কয়েকশো সন্দেহভাজন জামাত সদস্য। উপত্যকায় কয়েকশো মাদ্রাজা ও ধর্মীয় স্থান পরিচালনা করে এই সংগঠন।