সোমবার এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার বিস্তারিত জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘোষ, বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল একে ভারতী (ডিরেক্টর জেনারেল এয়ার অপারেশনস), এবং নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ (ডিরেক্টর জেনারেল নেভাল অপারেশনস)।
বিয়ের রাতে নাচের পর চুপচাপ শৌচালয়ে ঢুকেছিলেন কনে, পিছু নিলেন মা…দরজা খুলতেই চিৎকার!
advertisement
এয়ার ভাইস মার্শাল একে ভারতী বলেন, “আমাদের যুদ্ধ-পরীক্ষিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। শত্রুর মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। এই অভিযানের অন্যতম উজ্জ্বল দিক ছিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অসাধারণ সাফল্য। এই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে গত এক দশকে সরকারের নীতিগত ও আর্থিক সহায়তার জন্য।”
Representative Image: Mirage Jet
৭ মে ভোররাতে চালানো হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। প্রায় ২৫ মিনিটের এই অভিযান চলাকালীন, পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এ মোট ৯টি সুনিশ্চিত জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী — যার মধ্যে চারটি মূল পাকিস্তানে এবং বাকি পাঁচটি ছিল PoK-তে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এই অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের একাধিক ঘাঁটি ও পরিকাঠামো।
ভারতের এই প্রত্যাঘাতের পর পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে তারা আক্রমণ করে জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব এবং রাজস্থানের সীমান্তবর্তী শহর ও সেনা স্থাপনাগুলিতে।
এই হামলার ফলে একাধিক শহরে বাজে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন, চালু হয় ব্ল্যাকআউট। চণ্ডীগড়, জয়সালমীর এবং পাঠানকোটের মতো শহরে তৈরি হয় আতঙ্ক।
ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, উদমপুর, আদমপুর, পাঠানকোট এবং ভুজের সেনা স্থাপনাগুলিতে সীমিত ক্ষতি হয়েছে। পঞ্জাবের ফেরোজপুরে কিছু বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে এক সরকারি কর্মচারী প্রাণ হারিয়েছেন একটি ড্রোন হামলায়।