মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত আগ্রহী হয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এই পরিস্থিতিতে উড়ান পরিষেবা চালু হওয়া যে দুই দেশের সম্পর্কেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। কেন্দ্রের তরফে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, দীর্ঘ আলোচনার পরে দুই ঐকমতে এসেছে যে, ফের দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করা যেতে পারে। এই পরিষেবা চালু হলে তা যে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ করবে তাও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের অসামরিক বিমান চলাচল বিভাগের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর তারপরই ঠিক হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে উড়ান পরিষেবা ফের শুরু করার। এই মাসেই শেষদিকে তা চালু হতে পারে বলেই জানানো হয়েছে।
advertisement
সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বিমান চলাচল পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি জানিয়েছিলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং জিনপিং উভয়েই দেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছেন। ভারত এবং চিন উভয়ই স্বীকার করেছে যে তাদের মূল লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন, তারা অংশীদার, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। দুই দেশের স্থিতিশীল এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ২.৮ বিলিয়ন মানুষের স্বার্থে।’’
২০২০ সালের গোড়ার দিকে কোভিডের সময় দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই বছর জুনে গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের পর সেই সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে তলানিতে ঠেলে দেয়। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ভারত গত মাসে চিনা নাগরিকদের ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করেছে। ২৬ অক্টোবর থেকে কলকাতা এবং গুয়াংজুর (CAN) মধ্যে প্রতিদিনের নন-স্টপ ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে। শীঘ্রই দিল্লি এবং গুয়াংজুর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইন্ডিগোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার এলবার্স বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি দু-টি দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।”