সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ভারতের থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চিনের। ভারতের থেকে চিনের সেনারা বেশি আহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হামলার সময়ে ভারতীয় সেনা সংখ্যায় কম ছিলেন। চিনের সেনা অনেক বেশি ছিলেন। তার পরে সেই হামলা সফল ভাবে রুখে দেওয়া গিয়েছে। ভারতের তরফে জখম হয়েছেন সম্ভবত ৬ জন। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই ৬ সেনাকে গুয়াহাটিতে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
advertisement
চিনের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ওই এলাকায় ফের নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, লাদাখের মতো অরুণাচল নিয়েও চিনের সঙ্গে বহুদিনের সীমান্ত বিবাদ রয়েছে। তাওয়াং সেক্টর নিয়েও একাধিকবার দুই দেশের সেনার মধ্যে বিরোধ হয়েছে। কিন্তু কখনও তা হাতাহাতির পর্যায়ে যায়নি।
আরও পড়ুন, ভগবান থেকে শয়তান হয়ে গিয়েছি', মহিলার উদ্দেশ্যে হঠাৎ মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
অভিযোগ, চিনা সেনা বিনা প্ররোচনায় ওই এলাকায় সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি অবস্থায় আটঘাট বেঁধে হামলা চালায়। সংবাদসংস্থা এএনআই-এ প্রকাশিত খবর ভারতীয় সেনাও আগে থেকে তৈরি ছিল। ফলে চিনা ফৌজের এই হামলা ঠেকানো যায়।
আরও পড়ুন, 'জতুগৃহ' ট্য়াংরা, রাবারের কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে ১০টি ইঞ্জিন
২০২০ সালেও গালওয়ানে ভারত এবং চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সময়ে ভারতের ২০ জন সেনা শহিদ হন। চিনের তরফে এখনও পর্যন্ত ৪ সেনার মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়েছে।