৬ ডিসেম্বরের বৈঠকে যোগ দিতে পারার কথা গত সোমবার স্পষ্ট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘আগামী ৬ থেকে ১১ ডিসেম্বর আমি নর্থ বেঙ্গল যাচ্ছি৷ ৬ তারিখের বৈঠকের কথা আমি জানতাম না৷ যদি জানতাম ওই দিন বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাহলে হয়ত আমি আমার সফরের তারিখ বদল করতাম৷’’
advertisement
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, শোনা গিয়েছে, এই বৈঠকে যোগ দিতে তেমন উৎসাহী ছিলেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও৷ ক’দিন আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ইন্ডিয়া জোটকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস৷ বরং ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই বেশি ব্যস্ততা দেখাচ্ছে৷
অন্যদিকে, অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল৷ যদিও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে তামিলনাড়ুর যা অবস্থা, তার উপরে নজরদারি চালানোর জন্যই স্ট্যালিন যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন৷
আরও পড়ুন:‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র কায়দায় ‘লাডলি বহেন’! মমতার পথে হেঁটেই মধ্যপ্রদেশে বাজিমাত বিজেপির?
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থান— এই তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছে কংগ্রেস৷ এর মধ্যে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে৷ ঠিকমতো আসন সমঝোতা না হওয়া, আঞ্চলিক দলগুলিকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্যই এই ‘হাল’ হয়েছে বলে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই৷ এবার সব মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা অবশ্য বলবে সময়৷