শুক্রবার ছিল রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। ওই দিনই সকালে বিধানসভায় বিশেষ বৈঠকে বসেন সুব্রত বক্সী ও পার্থ চ্যাটার্জি। এর কিছুক্ষণ পরেই বিধানসভায় ঢোকেন দীনেশ। এখন বিধায়ক না থাকলেও দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে দীনেশের। পেশায় ব্যবসায়ী দীনেশ বড়বাজারের প্রয়াত বিধায়ক সত্যরঞ্জন বাজাজের পুত্র। বাবার মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রেই তৃণমূলের বিধায়ক হন দীনেশ। ওই অঞ্চলে এখনও প্রভাব রয়েছে বাজাজ পরিবারের। দীনেশ বাজাজ পঞ্চম আসনে প্রার্থী হয়ে রাজ্যসভা ভোটের উত্তাপ বাড়িয়ে দিলেন সন্দেহ নেই। প্রকাশ্যে না হলেও তিনি আসলে তৃণমূল সমর্থকই নির্দল। কিন্তু তিনি তো তৃণমূলের টিকিটেই দাড়াতে পারতেন? না হয়ে নির্দল কেন? এর পেছনে সুক্ষ রাজনৈতিক খেলা দেখছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
আসলে পঞ্চম আসনে নিজের প্রার্থী জেতাতে শাসক দলের কাছে রয়েছে জেজিএম-র দুই বিধায়ক সহ মোট ৩০ বিধায়ক। কিন্তু জিততে গেলে চাই আরও ১৯। সেক্ষেত্রে বাম কংগ্রেস শিবিরে ভাঙ্গন অনিবার্য । বিজেপি শুক্রবারই জানিয়ে দেয় তারা ফর্ম তুললেও পঞ্চম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। তাই এবার দীনেশ বাজাজের সঙ্গে বিকাশ বাবুর লড়াই সরাসরি। সেক্ষেত্রে নির্দল প্রার্থী কে যে কেউই সমর্থন করতে পারেন চাইলে, আর হারলেও সরাসরি দায় তৃণমূলের ওপর পড়বে না।। তাই কি এই কৌশল ? প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই। এদিকে রাজনীতির মাঠে বিকাশ বাবুর সঙ্গে এক সময় ভাল সম্পর্ক ছিল দীনেশের। বড়বাজারের যুবক তৃণমূল বিধায়কের প্রশংসাও করতেন কলকাতার মেয়র বিকাশ বাবু । বিভিন্ন বৈঠকের ফাঁকে। তবে এসব আজ সবই অতীত।। সামনে সম্মানের লড়াই।
Sourav Guha