Read:- Moneycontrol EXCLUSIVE: ‘India’s Growth is Good for the World’: PM Modi’s Interview
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘রাজধানীতে সামিট করার কিছু সুবিধা রয়েছে। আবার অন্যান্য এলাকার মানুষের আস্থার অভাবও এর কারণ হতে পারে। আমরা এটাও দেখেছি বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সফর প্রধানত রাজধানী এবং অন্য কয়েকটি এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকে’।
advertisement
ভারত বৈচিত্র্যময় দেশ। অপার সম্ভাবনা রয়েছে। মোদি তাই প্রথম থেকেই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী তৈরিতে জোর দিয়েছিলেন। সরকারও পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছে। তাঁর কথায়, ‘আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি। যেমন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলার অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জাপানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শিনজো আবের সঙ্গে বারাণসীতে বৈঠক করি। পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা গোয়া ও মুম্বাইয়ে আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিনিকেতন সফরে গিয়েছিলেন’।
প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদও চণ্ডীগড় গিয়েছিলেন। মোদি বলেন, ‘দিল্লির বাইরে বিভিন্ন জায়গায় বহু বৈশ্বিক বৈঠক হয়েছে। হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হয় গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ সামিট। ভারত গোয়ায় ব্রিকস সামিট এবং জয়পুরে ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কর্পোরেশন সামিটের ফোরামের আয়োজন করেছিল’। এমন অসংখ্য উদাহরণ তিনি দিতে পারেন বলে জানান মোদি। যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসা পদ্ধতির আমূল বদল ঘটেছে।
ভারত বিশাল দেশ। জাতিগত বৈচিত্র্যে ভরপুর। এই শক্তির ফায়দা তোলা উচিত বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতিগত বৈচিত্র্য দেখে বিস্মিত হতে হয়। আমি সারা দেশ ঘুরে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি। সেটা হল, সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের মধ্যে ‘আমিও পারি’ মনোভাব। দুর্দান্ত ক্ষমতা এবং দক্ষতার সঙ্গে দেশবাসী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। অনেক প্রতিকূলতা আছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি নেই একচুলও। তাদের শুধু একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার ছিল। যেখানে তারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে’।
দেশের ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬০টি শহরের ২২০টিরও বেশি জি২০ সামিটের বৈঠক হবে। ১২৫টি দেশের প্রায় ১ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করবেন। ভারতের ১.৫ কোটিরও বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠানগুলির সঙ্গে যুক্ত। ‘এই ধরনের সভার আয়োজন এবং বিদেশি প্রতিনিধিদের আতিথেয়তার জন্য আন্তরিকতা, রসদ, পরিকাঠামো, যোগাযোগ দক্ষতার প্রয়োজন। জি২০ প্রেসিডেন্সির গণতন্ত্রীকরণ হল দেশের বিভিন্ন শহরের জনগণ, বিশেষ করে যুবকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের বিনিয়োগ’, যোগ করেন মোদি।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার গত ৯ বছরে দেশে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াসের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে। তাঁর কথায়, ‘বিদেশ নীতির ক্ষেত্রেও এটাই আমাদের নীতি। জি২০ সামিটের জন্য যখন এজেন্ডা নির্ধারণ করা হচ্ছে তখন এই নীতিকেই সবাই স্বাগত জানিয়েছিল। কারণ আমরা সবাই জানি, বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজতে সক্রিয় এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’।