জীবিত অবস্থায় সিয়াচেন থেকে উদ্ধার করা হয় জওয়ান ল্যান্স নায়েক হনুমানথাপ্পাকে ৷ কোমায় চলে যান তিনি ৷ টানা দু’দিন চলে চিকিৎসা ৷ শেষমেশ শুক্রবারে মৃত্যুর কাছে হার মারলেন ল্যান্স নায়েক ৷ আর অন্যদিকে তুষারের মাঝেই প্রাণ হারালেন সুনীল সূর্যবংশী ৷
তৃতীয় বছরের বিবাহ বার্ষিকীতে বাড়ি আসবেন বলে ছুটিও নিয়েছিলেন জওয়ান সুনীল ৷ বাড়ি ফেরা আর হল না ৷ ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-তেই বাড়ি আসার কথা ছিল সুনীলের ৷ স্ত্রী রেখা এখনও আছেন অপেক্ষায় ৷ তাঁর বিশ্বাসই হচ্ছে না, সুনীল আর নেই !
advertisement
২৫ বছর বয়সি সূর্যবংশী সাতারার মাসকারওয়াড়ি গ্রামের বাসিন্দা ৷ যোগ দিয়েছিলেন মাদ্রাজের সেনা ব্যাটেলিয়ানে ৷ ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হনুমানথাপ্পার সঙ্গেই সিয়াচেনে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল ৷ ৩ ফেব্রুয়ারির তুষার ঝড়ে প্রাণ দিলেন তিনি ৷ বাড়ি থেকে সিয়াচেন যাওয়ার আগে স্ত্রীকে বলেছিলেন তিনি, খুব তাড়াতাড়িই ফিরব বাড়ি ৷ বাড়ির দেখাশোনা করও ৷ বলেছিল বাচ্চাদের খেলনাও কিনে দিতে ৷ সুনীলের বাড়ি ফেরা হল না ৷ সবই রয়ে গেল সিয়াচেনের বরফের তলায় !