ভোট মিটলেও, যুদ্ধ শেষ হয়নি। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-জেডিএস জোটের টক্কর শুক্রবারও গোটা দিন অব্যাহত। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর রিসর্ট থেকে ইয়েদুরাপ্পা সরকার নিরাপত্তা তুলে নিতেই সিদুঁরে মেঘ দেখেন বিরোধী নেতারা। তড়িঘড়ি রাজ্যের বাইরে বিধায়কদের সরানোর তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। চাটার্ড বিমানের দাবি খারিজ হতেই বাসে করে গোপনে বিধায়কদের নিয়ে রওনা হন নেতারা।
advertisement
প্রথমে কোচি, এরপর পুদুচেরি, শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের এক পাঁচতারা হোটেলে তাঁবু ফেলেন তাঁরা। এর মধ্যেই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কর্ণাটক বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার হিসেবে কেজি বোপ্পাইয়রা নাম ঘোষণা করেন রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা। এরপরেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
কংগ্রেসের অভিযোগ ফের রুলবুকের বাইরে কাজ করলেন রাজ্যপাল। ইয়েদুরাপ্পাকে জেতাতে বোপ্পাইয়াকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। কংগ্রেসের প্রশ্ন, কেন উপেক্ষিত রইলেন ৭ বারের বিধায়ক আরভি দেশপান্ডে ?
কংগ্রেসের এই অভিযোগ সপাটে উড়িয়ে বিজেপির দাবি, বোপ্পাইয়া এর আগেও প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ন সামলেছেন। তাই এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয় ৷ এখন কুমারস্বামী-সিদ্দারামাইয়াদের ইয়েদুরাপ্পার কৌশলের মোকাবিলা করাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ । তবে শেষ কথা বলবে সময়ই ৷
আরও পড়ুন : ১০০ শতাংশ বিজেপিই জিতবে কর্ণাটকে, আস্থা ভোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইয়েদুরাপ্পা