জি.আর.পি থানার অফিসারের টিম তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে আগরতলা জিআরপি থানায় এবং এই মামলার সঙ্গে আরো অনেকে গ্রেফতার হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত পুলিশ টিম অনুমান করছে আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে তাদের থেকে।
advertisement
এই নিয়ে আগরতলা জিআরপি থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয় এবং আজ অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল- ঝিলমিল (৬৩) জেলা – খুলনা, বাংলাদেশ সাগর মণ্ডল (২৩) বাড়ি – দক্ষিণ গাঙ্গুটিয়া লেখংগা থানার অন্তর্গত পশ্চিম ত্রিপুরা (ভারতীয় দালাল)।
৩) সুব্রত দাস বাড়ি রাঙ্গুটিয়া পাতার বাজার অন্তর্গত পশ্চিম ত্রিপুরা ( ভারতীয় দালাল).
এই সুব্রত দাসকে গত প্রায় পাঁচ মাস আগে ঠিক একই অপরাধের জন্য তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল আগরতলা জিআরপি থানার পুলিশ এই মামলায় তিনি এখন জামিনে আছেন। কিন্তু আজকে সেই একই অপরাধের জন্য আবার তাকে গ্রেফতার করেছে আগরতলা জি আর পি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রোটিনের ভাণ্ডার, বাজারে দেখেও কিনছেন না? পাতে এই কয়েকটি মাছ রাখলেই জব্দ হবে ইউরিক অ্যাসিড!
অন্যদিকে ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসা থানার লালছড়ি এলাকায় একটি বাড়ি থেকে সন্দেহ মূলক পাঁচজন মায়ানমার নাগরিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ তাদের নথিপত্র খতিয়ে দেখছে। এদিকে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে ধৃত পাঁচজন মায়ানমারের বাসিন্দা এরমধ্যে একজন শিশু রয়েছে, তারা বিগত এক সপ্তাহ ধরে আমবাসা লালছড়ি এলাকায় বীণা দেববর্মার বাড়িতে থাকছে।
অন্যদিকে পাঁচজনের মধ্যে মাত্র তিনজনের পাসপোর্ট রয়েছে বাকি দুইজনের পাসপোর্ট নেই, এমনকি ভিসা পর্যন্ত করেনি। ধৃতদের বক্তব্য তারা ত্রিপুরায় এসেছে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য। পুলিশ আরও বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে, এই বিষয়ে আমবাসা থানার সেকেন্ড ওসি প্রকৃত জমাতিয়া জানান, ‘‘তবে এখন পর্যন্ত পরিস্কার করে কিছুই বলছে না তাদের কথায় সন্দেহজনক অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিমত পুলিশের।’’
বিগত এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে। যা নিয়ে ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “সীমান্ত পাহাড়া দেওয়ার কাজে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বিএসএফ। ঠিক করে নজরদারি চালালে এরা ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।” অন্যদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ যথাযথ ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিলেই অপরাধীদের গ্রেফতার করছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা যথেষ্ট ভাল।