শেষবার দেখা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। আঠেরো বছর পর ফের একবার আন্তর্জাতিক আদালতে মুখোমুখি দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এবার নয়াদিল্লির লক্ষ্য, পাকিস্তানে বন্দি কুলভূষণ যাদবের প্রাণদণ্ড রদ করা।
- ৩ মার্চ ব্যবসায়ী কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান
- চরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সেনা আদালত
ভারতের দাবি
- ভিয়েনা চুক্তি অগ্রাহ্য করে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে
advertisement
- ভারতীয় দূতাবাস কুলভূষণের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে
- কিন্তু, সেই আবেদনে কান দেয়নি পাকিস্তান
- কূটনৈতিক স্তরে ব্যর্থতার পর ৮ মে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করে ভারত
- ভারতের দাবি, ভুয়ো অভিযোগে একজন নির্দোষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে
নয়াদিল্লির সেই আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার নেদারল্যান্ডসের হেগে, দ্য গ্রেট হল অব জাস্টিসে এনিয়ে শুনানি শুরু হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে কীভাবে চলে বিচার?
কীভাবে শুনানি?
- আন্তর্জাতিক আদালত সাধারণত ২ ধরনের মামলার বিচার করে
- প্রথমত, দুটি দেশের মধ্যে বিতর্কিত কোনও বিষয় নিয়ে আবেদন করা যেতে পারে আন্তর্জাতিক আদালতে
- এছাড়া, কোনও দেশ আইনি পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ করতে পারে ওই আদালতে
- এই আদালতে শুনানি কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টাও চলতে পারে
- পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়
- এই ধরনের পাবলিক হেয়ারিংয়ে যে কেউ হাজির হতে পারেন
এর আগে, ১৯৯৯ সালে কচ্ছের রানে ভারতের সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানি নৌসেনার একটি বিমান। তা গুলি করে নামায় ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনায় ১৬ জন পাক অফিসারের মৃত্যু হয়। তাতে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ইসলামাবাদ। সেই মামলায় চার দিনের মাথাতেই অবশ্য জয় পায় ভারত।