ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দু'টি বিমানে মোট তিনজন চালক ছিলেন৷ দু' জন চালক নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারলেও তৃতীয় জনের মৃত্যু হয়েছে৷ রুটিন মেনে প্রশিক্ষণের জন্যই বিমান দু'টি উড়েছিল বলে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্যুইট করে আত্মঘাতী প্রাক্তন বিজেপি কর্মী, ঘর থেকে উদ্ধার স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহও!
advertisement
এ দিন সকালে রাজস্থানের ভরতপুর এবং মধ্যপ্রদেশের মোরেনাতে তিনটি যুদ্ধ বিমানের ধ্বংশাবশেষ উদ্ধার হয়৷ প্রথমে মনে করা হয়েছিল, মোরানায় দু'টি এবং ভরতপুরে আরও একটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে আগুন, বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ হারালেন চিকিৎসক দম্পতি-সহ একাধিক কর্মী!
পরে অবশ্য জানা যায়, মোরেনাতে ভেঙে পড়া বিমানের মধ্যে একটি বিমানের অংশ ভরতপুরে গিয়ে পড়ে। কারণ দুই রাজ্যে হলেও মধ্যপ্রদেশের মোরেনা এবং রাজস্থানের ভরতপুরের মধ্যে দূরত্ব একশও কিলোমিটারের মতো। তাই দ্বিতীয় বিমানটি ভরতপুরে গিয়ে ভেঙে পড়ে।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, সুখোই-৩০ বিমানে থাকা দু' জন পাইলট সময় মতো বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন৷ কিন্তু মিরাজ ২০০০ বিমানে থাকা পাইলট বেরোতে পারেননি৷ দুর্ঘটনায় তাঁরই মৃত্যু হয়৷
মাঝ আকাশে দুই বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে বায়ুসেনা। তবে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে তীব্র গতিতে আকাশে মহড়া দেওয়ার সময় দু'টি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষেই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।