TRENDING:

Maan Ki Baat: 'এই বিপদ কেটে যাবে', প্রধানমন্ত্রীকে অভয় দিল বায়ু সেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেনের ছোট্ট মেয়ে

Last Updated:

প্রধানমন্ত্রী অদিতিকে বলেন, ''আমাদের দেশে বলা হয় কন্যাসন্তানদের গলায় সাক্ষাৎ মা সরস্বতী বিরাজ করেন। তুমি যখন বলছ তখন তোমার এই কথাগুলোকে আমি ঈশ্বরের শব্দ হিসেবে ধরছি।''

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: অন্ধকারের শেষেই আলোর দিশা খুঁজে পাওয়া যায়। গোটা দেশকে যে অন্ধকার ঘিরে ফেলেছে তা গাঢ় বটে, তবে দুর্ভেদ্য নয়। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় একদিন ঠিক আলোর খোঁজ পাওয়া যাবে। দেশের পরিস্থিতি জটিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষ সন্দিহান। তবুও মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছে গোটা দেশ। সাধারণ মানুষ একদিকে রোগ সংক্রমণের ভয় তটস্থ, আরেকদিকে করোনা লকডাউনের জেরে জীবিকা হারানোর আতঙ্কে জবুথবু। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে ভয়ঙ্কর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও মনের জোরই শেষ কথা। এমন কঠিন সময়ে নিজেদের উপর বিশ্বাস হারালে চলবে না। আর তাই রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজির ভোকাল টনিক নিয়ে। যেভাবেই হোক দেশবাসীর মনোবল বাড়িয়ে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সবাই মিলে একজোট হয়ে লড়াই না করলে বিপদ কাটিয়ে ওঠা যাবে না। এদিন করোনার বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সদের কুর্নিশ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে অক্সিজেন এক্সপ্রেস -এর লোকো পাইলট ও ট্যাঙ্কার ড্রাইভারদেরও এই অস্থির পরিস্থিতিতে অসাধারণ কাজের জন্য প্রশংসা করলেন।
advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, করোনার এই কঠিন সময়ে জল, স্থল ও বায়ু সেনার জওয়ানরা একজোট হয়ে কাজ করছেন। শত্রু নিধনে পারদর্শী সেনা জওয়ানরা এখন দেশের মানুষের জীবন বাঁচাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এদিন বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন একে পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রুপ ক্যাপ্টেনকে তিনি বলেন, ''করোনার এই সময়ে আপনি বড় দায়িত্ব সামলেছেন। একজন সেনা হয়ে আপনি আলাদা ধরনের কাজ করছেন। এখন আপনি মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়চ্ছেন। আগে হয়তো শত্রুকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য দৌড়তেন।'' গ্রুপ ক্যাপ্টেন পট্টনায়ক উত্তরে বলেন, ''সংকটের সময়ে দেশের মানুষের সাহায্য করতে পারাটা সৌভাগ্যের। যে মিশনের জন্য আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে তা দায়িত্ব নিয়ে সামলাতে চাই। এই কাজটা করে মনে যা শান্তি পাচ্ছি বলে বোঝাতে পারব না। গত এক মাস ধরে দেশ-বিদেশ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলছি। ১০৭টি ইন্টারন্যাশনাল মিশন শেষ করেছি। তিন হাজারের বেশি ঘন্টা আকাশে থেকেছি। লাগাতার এয়ারফোর্স অপারেশন করছি। সিঙ্গাপুর, দুবাই, জার্মানি, ইউকে থেকে অক্সিজেন আনছি। খুব শর্ট নোটিশে এই মিশনগুলো প্ল্যান করা হয়েছে।'' এর পরই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''আপনাদের জন্য গর্বিত দেশবাসী। ভারতীয় সেনা করোনার বিরুদ্ধে যেভাবে লড়ছে তা প্রশংসাযোগ্য।'' এর পরই প্রধানমন্ত্রীকে পট্টনায়েক বলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে রয়েছে। ১১ বছরের মেয়ে অদিতি একবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

অদিতি প্রধানমন্ত্রীকে বলে, ''আমার বয়স ১১ বছর। আমার বাবা এই কঠিন সময়ে যা করছে তার জন্য আমি গর্বিত। দেশের জন্য অক্সিজেন আনছে আমার বাবা। করোনা আক্রান্তদের সাহায্য করছে। এখন তো বাবা আর বাড়িতেও থাকে না। আমি বাবাকে খুব মিস করি।'' ছোট্ট অদিতির কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''মানুষের প্রাণ বাঁচানোর সৌভাগ্য সবার হয় না। তোমার বন্ধুরা তোমাকে এখন অনেক বেশি সম্মান করে। সেটা কি তুমি জানো!'' অদিতি উত্তর দেয়, ''হ্যাঁ আমার বন্ধুরা বলে, তোমার বাবা খুব ভাল কাজ করছেন। তখন ওদের মুখে ওই কথা শুনে আমার গর্ব বোধ হয়। আমাদের আত্মীয় স্বজনের অনেকে ডাক্তার। তারাও দিনরাত এক করে এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়ছে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। এই বিপদ একদিন ঠিক কেটে যাবে।'' প্রধানমন্ত্রী এরপরই অদিতিকে বলেন, ''আমাদের দেশে বলা হয় কন্যাসন্তানদের গলায় সাক্ষাৎ মা সরস্বতী বিরাজ করেন। তুমি যখন বলছ তখন তোমার এই কথাগুলোকে আমি ঈশ্বরের শব্দ হিসেবে ধরছি।''

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Maan Ki Baat: 'এই বিপদ কেটে যাবে', প্রধানমন্ত্রীকে অভয় দিল বায়ু সেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেনের ছোট্ট মেয়ে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল