পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে পুরনো এবং জটিল চোখের রোগে ভুগছিলেন তেজস্বিনী৷ প্রতি চার ঘণ্টা অন্তর তাঁকে ড্রপ দিতে হত চোখে৷ নইলে দেখতে পারতেন না৷ জিনগত এই জটিল অসুখ দেখা দিয়েছিল তাঁর দুই সন্তান আশিস এবং অর্শিতের মধ্যেও৷ ক্রমে এই পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছিল তেজস্বিনীর কাছে৷ মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন৷
advertisement
আরও পড়ুন : ৪ সবজি, ২ ফল এবং ১ তেলের কামাল! আপনাকে ছোঁবে না কিডনির অসুখ! আজই খেতে শুরু করুন
দুই সন্তানও এই রোগের শিকার হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে চরমে উঠেছিল তেজস্বিনীর দাম্পত্য ঝামেলা৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সন্তানদের চোখের রোগের জন্য তেজস্বিনীকেই দায়ী করতেন তাঁর স্বামী৷ সুইসাইড নোটে নিহত তরুণী লিখেছেন উত্তপ্ত কথা কাটাকাটির সময়ে স্বামী তাঁকে বলতেন, ‘চাইলে মরো’৷ এই মানসিক চাপ তিনি আর নিতে পারছিলেন না, সুইসাইড নোটে জানিয়েছেন তেজস্বিনী৷ মানসিক হতাশা আর যন্ত্রণা ক্রমশ গ্রাস করেছিল দুই সন্তানের মাকে৷ তদন্তকারী পুলিশের ধারণা, মানসিক দিক থেকে ধ্বস্ত হয়েই প্রথমে নারকেল কাটার কাটারি দিয়ে সন্তানদের হত্যা করেন তেজস্বিনী৷ তার পর তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টর পাঁচ তলা থেকে মরণঝাঁপ দেন তিনি৷
মর্মান্তিক এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় তেজস্বিনী এবং তাঁর বড় ছেলে অর্শিতের৷ ছোট ছেলে আশিস অনেক ক্ষণ জীবিত ছিল৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে৷
If you or someone you know needs help, call any of these helplines: Aasra (Mumbai) 022-27546669, Sneha (Chennai) 044-24640050, Sumaitri (Delhi) 011-23389090, Cooj (Goa) 0832- 2252525, Jeevan (Jamshedpur) 065-76453841, Pratheeksha (Kochi) 048-42448830, Maithri (Kochi) 0484-2540530, Roshni (Hyderabad) 040-66202000, Lifeline 033-64643267 (Kolkata)