মুম্বই-ভিত্তিক ডেলিভারি এজেন্ট বলকৃষ্ণ রামপ্যর রামকেও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: ভারত না পাকিস্তান, পারমাণবিক শক্তির ভাণ্ডার কার বেশি! জানুন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ কারা…
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, ৩৪ বছর বয়সী এক মহিলা ডাক্তার ও এক ডেলিভারি পার্সনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তাদের কাছ থেকে ৫৩ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়েছে।
advertisement
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ধৃত চিকিৎসকের নাম ডঃ নম্রতা চিকুরুপাটি। তিনি হায়দরাবাদের এক বিখ্যাত হাসপাতালের CEO। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০২১-২২ সালে স্পেনে MBA পড়ার সময় কোকেনে আসক্ত হন।
ডঃ নম্রতা ২০১৪ সালে পীরামচেরুভুর একটি কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন এবং ২০১৭ সালে কোচির একটি ইনস্টিটিউশন থেকে রেডিয়েশন অনকোলজিতে এমডি সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডারে ব্রহ্মোস মিসাইল আছড়ে পড়লে কী হবে! উত্তর জানলে চমকে উঠবেন…
তিনি মুম্বই-ভিত্তিক এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়মিত কোকেন সংগ্রহ করতেন। ৪ মে, ওই চিকিৎসক ৫ লক্ষ নগদ দেন বলকৃষ্ণকে, যিনি তা মুম্বইতে ভ্যান্স ঠাক্কারের কাছে পৌঁছে দেন। পরে বলকৃষ্ণ কোকেনের চালান নিয়ে ৮ মে হায়দরাবাদে আসেন।
৮ মে সন্ধ্যায় হায়দরাবাদের এক রেস্টুরেন্টের সামনে নিজের মিনি কুপার গাড়িতে বসে কোকেন নেওয়ার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। তিনি অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকাও দিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
ডঃ নম্রতা স্বীকার করেছেন যে, এক বন্ধুর ‘ডিজে’ বয়ফ্রেন্ডের মাধ্যমে কোকেন নিতে শুরু করেছিলেন এবং পরে সরাসরি ড্রাগ ব্যবসায়ী ভ্যান্স ঠাক্কারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি গত এক বছর ধরে মাসিক ভিত্তিতে কোকেন কিনছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ভ্যান্স ঠাক্কার WhatsApp-এ বার্তা পাঠাতেন এবং ‘disappearing messages’ চালু করে রাখতেন। অভিযুক্তদের NDPS আইনের ৮(সি) ও ২২(বি) ধারায় মামলা করা হয়েছে এবং মূল মাদকচক্রের মাথা ভ্যান্স ঠাক্কার এখনো পলাতক।