TRENDING:

Husbands Torture: 'এবার আর রাখিটা পরাতে পারব না রে...!' ভাইকে শেষ লাইনে বার্তা দিয়েই চরম সিদ্ধান্ত দিদির! পুরোটা ঘটনা জানলে চোখে জল চলে আসবে...

Last Updated:

Husbands Torture: অন্ধ্রপ্রদেশে বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে এক অধ্যাপিকা আত্মহত্যা করেছেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি এই চরম পদক্ষেপ নেন এবং ভাইকে উদ্দেশ্য করে এক হৃদয়বিদারক সুইসাইড নোট রেখে যান...

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কৃষ্ণা: কালো মেঘের মতো এক বিষাদ নেমে এসেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার এক বিবাহিত নারীর জীবনে। মাত্র ছয় মাস আগে রামবাবুর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শ্রীবিদ্যা, যিনি একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যাপিকা ছিলেন।
'এবার আর রাখিটা পরাতে পারব না রে...!' ভাইকে শেষ লাইনে বার্তা দিয়েই চরম সিদ্ধান্ত দিদির! পুরোটা ঘটনা জানলে চোখে জল চলে আসবে...
'এবার আর রাখিটা পরাতে পারব না রে...!' ভাইকে শেষ লাইনে বার্তা দিয়েই চরম সিদ্ধান্ত দিদির! পুরোটা ঘটনা জানলে চোখে জল চলে আসবে...
advertisement

কিন্তু সেই বিয়ের স্বপ্ন দ্রুত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। বিয়ের এক মাস কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছিল নির্যাতন। স্বামী রামবাবু, যিনি পেশায় একজন গ্রাম সার্ভেয়ার, প্রতিদিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে শ্রীবিদ্যাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতেন।

আরও পড়ুন: খাবার পরেই চা খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? ক্ষতি করছেন শরীরের, কেন জানুন…

advertisement

এই নির্যাতন ছিল অসহনীয়। রামবাবু শুধু মারধর করেই ক্ষান্ত হতেন না, তিনি শ্রীবিদ্যাকে নানাভাবে অপমানও করতেন। একবার অন্য এক মহিলার সামনে তাকে “অযোগ্য” বলে অভিহিত করেছিলেন, যা শ্রীবিদ্যার মনে গভীর আঘাত হেনেছিল।

নোটে শ্রীবিদ্যা লিখে গেছেন সেইসব ভয়ঙ্কর রাতের কথা, যখন রামবাবু তাকে নৃশংসভাবে মারধর করতেন, এমনকি বিছানায় তার মাথা ঠুকে দিতেন।

advertisement

প্রতিদিনকার এই নিরন্তর অত্যাচার শ্রীবিদ্যার জীবনকে নরকে পরিণত করেছিল। তার পক্ষে এই যন্ত্রণা আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিল না। হয়তো তাই, এই চরম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তার শেষ আশ্রয় ছিল কলম আর কাগজ।

আরও পড়ুন: মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিনেই সর্বনাশ! দেশে হুরহুর করে বাড়ছে কিডনি রোগের সংখ্যা…! অবহেলায় ভয়ঙ্কর বিপদ…

তার সুইসাইড নোটে তিনি তার এই অবস্থার জন্য স্বামী রামবাবু এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দায়ী করে গেছেন। তার শেষ আবেদন ছিল, “তাদের কোনো পরিস্থিতিতেই রেহাই দেওয়া উচিত নয়।”

advertisement

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ছিল তার ভাইয়ের জন্য লেখা শেষ কয়েকটি লাইন। সামনেই রাখিবন্ধন, ভাই-বোনের ভালোবাসার উৎসব। কিন্তু শ্রীবিদ্যা জানতেন, এইবার তিনি আর তার ভাইকে রাখি পরাতে পারবেন না। তাই তার শেষ বার্তা ছিল, “ভাই, নিজের খেয়াল রেখো। এইবার হয়তো আমি তোমাকে রাখি পরাতে পারব না।” এই কথাগুলো যেন শুধু একটি সুইসাইড নোটের অংশ নয়, বরং একজন নির্যাতিতার অন্তরের গভীর কষ্টের প্রতিচ্ছবি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Husbands Torture: 'এবার আর রাখিটা পরাতে পারব না রে...!' ভাইকে শেষ লাইনে বার্তা দিয়েই চরম সিদ্ধান্ত দিদির! পুরোটা ঘটনা জানলে চোখে জল চলে আসবে...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল