স্থানীয় বাসিন্দা গণেশী বাঈ তার স্বামী অরবিন্দ রঘুবংশীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে, এরপর তার দেহ স্থানীয় একটি পুকুরে ফেলে দেয়। ঘটনাটি প্রথমে আত্মহত্যা বা ডুবে মৃত্যুর মতো মনে হলেও, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ভয়ঙ্কর সত্য উন্মোচিত হয়।
আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়ার পর এবার ইন্ডিগো, টেক অফের পরই বিপত্তি! শ্বাস আটকে গেল ১৭২ যাত্রীর, তারপর…
advertisement
প্রথমে গণেশী পুলিশের কাছে দাবি করেন, তার স্বামী অরবিন্দ স্নান করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা গেছেন। কিন্তু যখন মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়, তখন জানা যায় মাথায় গভীর আঘাত রয়েছে এবং এটি কোনো ভারী জিনিস দিয়ে মারা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর কারণ ছিল মাথায় গুরুতর আঘাত, যা স্পষ্টভাবে একটি খুনের দিকেই ইঙ্গিত করে।
পুলিশ যখন গণেশী বাঈকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন তিনি স্বীকার করেন যে তিনি নিজেই তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। কারণ হিসাবে তিনি জানান, পারিবারিক কলহে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। গণেশী চেয়েছিলেন তালাক নিতে, কিন্তু স্বামী রাজি হচ্ছিলেন না। সেই কারণেই একদিন দুজনের ঝগড়ার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি পাথর দিয়ে আঘাত করেন।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পরেই হোস্টেল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাফ ছাত্রদের, দেখুন ভিডিও…
অরবিন্দের এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল, প্রথম পক্ষের স্ত্রী তাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। গণেশী ও অরবিন্দ একটি ছোট ছেলের মা-বাবা ছিলেন। দুজনেই দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে গণেশী বাঈকে গ্রেপ্তার করে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ হত্যা মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন নৃশংস ঘটনা আগে কখনও শোনেননি। পুলিশ পুকুরের আশপাশে হত্যায় ব্যবহৃত পাথরের খোঁজও চালাচ্ছে।