ঘটনাটি থানা নয় কি মন্দিরের সুন্দর পাড়া এলাকায় ঘটেছে, যা আগ্রা পুলিশের সদর দফতর ও কালেক্টরেট থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে। শক্তি সিংহ তার মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ছোট্ট একটি গলির ভিতরে বাড়িতে থাকত। স্ত্রী পার্বতীর সঙ্গে সে একটি আলাদা ঘরে বসবাস করত।
আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার আগেই দ্বিতীয় বিয়ে! স্বামীর কাণ্ডে অবাক বউ, তারপর যা হল…
advertisement
শক্তি ও পার্বতীর প্রথম দেখা হয়েছিল করৌলি যাত্রার সময়। পার্বতীর পৈতৃক বাড়ি ছিল ভুপালে, কিন্তু চার বছর আগে তার বাবা-মা মারা যাওয়ায় সে আপন বড় বোন গীতার কাছে আগ্রায় থাকতে এসেছিল। গীতাই পুলিশে এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত শুক্রবার শক্তি ও পার্বতী করৌলি থেকে ফিরেছিল। ফেরার পরই শক্তি তার পরিবারের সঙ্গে তীব্র ঝগড়া করে। কারণ, যাত্রার সময় তার পকেটমারি হয়েছিল এবং সে বাবার কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল, কিন্তু বাবা তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর থেকেই শক্তির ব্যবহার অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে বন্ধ হবে পেট্রল ও ডিজেল গাড়ি! দূষণ রুখতে নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের, জানুন পুরোটা…
স্থানীয়দের মতে, শক্তি সিংহ ছিল এক নেশাগ্রস্ত সাইকো। সে সব ধরনের মাদক সেবন করত এবং কখনো কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলত না। প্রতিবেশীরা জানান, সে তার স্ত্রীকেও নেশার ওষুধ খাওয়াতো। ধারণা করা হচ্ছে, সে পার্বতীকে নেশার ওষুধ খাইয়ে ব্লেড দিয়ে হত্যা করেছে, যাতে কেউ কোনো চিৎকার শুনতে না পারে।
খুন করার পর শক্তি নিজের ঘরের দেওয়ালে রং করায়! প্রতিবেশীরা জানান, সে কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে বলেছিল, “আমি ঘরে রং করাচ্ছি।” খুনের চিহ্ন মুছে ফেলতেই এই পন্থা নিয়েছিল সে।
প্রতিবেশীদের মতে, পার্বতী খুব কমই বাড়ির বাইরে বেরোতো। মাঝে মাঝে ঝগড়ার পর সে চুপচাপ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকত, কিন্তু কাউকে কিছু বলত না। আশ্চর্যের বিষয়, এলাকার অনেকেই পার্বতীর মুখ প্রথমবার দেখল! সেটাও পুলিশ তাদেরকে ছবি দেখানোর পর…